চেন্নাই: মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার দুঃখে আত্মঘাতী হলেন তামিলনাড়ুর এক খেতমজুরের কন্যা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিল্লুপুরম জেলার সেনজি নগরের বাসিন্দা ১৯ বছরের প্রতিভা গতকাল রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, সদর হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করেন চিকিৎসকরা। রাত ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
কীটনাশক খাওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোট লেখেন প্রতিভা। সেখানে তিনি জানান, তিনি ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, নিট-এর প্রশ্নপত্র তাঁর প্রচণ্ড কঠিন মনে হয়েছিল। তিনি প্রশ্নপত্র বুঝতেই পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে, পড়াশোনায় এমনিতে মেধাবী ছিলেন প্রতিভা। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি ৫০০-র মধ্যে ৪৯০ পেয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি ১২০০-র মধ্যে পেয়েছিলেন ১১২৫।
জানা গিয়েছে, এবছর দ্বিতীয়বারের জন্য নিট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রতিভা। চেয়েছিলেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে। কারণ, বেসরকারি কলেজে তাঁকে পাঠানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি ছিল না তাঁর বাবার। কিন্তু, নিট পরীক্ষায় ৭০০-র মধ্যে মাত্র ৩৯ নম্বরই তুলতে সক্ষম হন মৃত তরুণী।
গতবছর, আরিয়ালুর জেলায় অনীতা নামে এক দলিত তরুণী একইভাবে নিট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সেই নিয়ে রাজ্যে বিস্তর রাজনৈতিক হাঙ্গামা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গতকালই নিট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবছর, মোট ১২.৬৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রবেশিকায় বসেন। তাঁদের মধ্যে ৭.১৪ লক্ষ ঊত্তীর্ণ হন।