নয়াদিল্লি: বদলা চান পাকিস্তান সেনার নৃশংসতা, অমানবিকতার শিকার বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল প্রেম সাগরের মেয়ে। কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে গতকাল পাক সেনারা নিহত প্রেম ও আরও এক জওয়ানের অঙ্গহানি করেছে। দেশজুড়ে যার প্রবল নিন্দার ঝড় উঠেছে। পাক সেনাদের বর্বর আচরণের যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ভারত। তার মধ্যেই আজ নিহত জওয়ানের মেয়ে সরোজকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তাঁদের পরিবারের দাবি, প্রেম সাগরের বলিদানের বিনিময়ে ৫০টা মাথা চাই।

৪৫ বছরের প্রেম সাগর উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার তাকেনপুরের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান বর্ডার টিমের লোকজন যে ল্যান্স নায়েক হেমরাজের মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁর মা-ও পাক সেনার গতকালের লজ্জাজনক আচরণে ক্রোধে ফুঁসছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারত এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে এ ধরনের হামলার পাল্টা উপযুক্ত জবাব দিক। বাবা-মায়ের সন্তানকে হারিয়ে কী যন্ত্রনা হয়, সেটা বুঝতে হবে সরকারকে।
কৃষ্ণঘাটি সেক্টরেই ২০১৩-র ৮ জানুয়ারি হেমরাজ ও আরেক ল্যান্স নায়েক সুধাকর সিংহের মাথা কেটে নিয়ে যায় পাক টিম ব্যাট। দুজনেই ছিলেন ১৩ রাজপুতনা রাইফেলসের।
এএনআই হেমরাজের মা-কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওরা আমার ছেলের মুণ্ডচ্ছেদ করেছিল। এখন তো প্রতিদিনই এমন নানা ঘটনা ঘটতে দেখছি। সরকার কথা দিয়েছিল, ওরা আমাদের একজনের মাথা কাটলে ওদের ১০টা মাথা কেটে আনবে, যদিও আজ অবধিও কিছুই হল না।
গতকাল নিহত ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিত্ সিংহেরও অঙ্গহানি করেছে পাক বাহিনী। পঞ্জাবের তরণ তারণে তাঁর বাড়িতে শোকের ছায়া। ভাই বলেছেন, নতুন বাড়িতে আমরা উঠে যাব, এমনই প্ল্যান ছিল ওর। বদলে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে ও।
পরমজিতের মেয়ে সিমরানদীপ বলেছে, বাবা দেশের জন্য শহিদ হল। গর্বিত আমি।