গয়া: ৪৮-ঘণ্টা আগে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন তাদের বাবা। চোখের জল এখনও বাধ মানছে না। আচমকা, মাথার ওপর থেকে যেন ছাদটাই উড়ে গিয়েছে। জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অনিশ্চয়তা।


কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও, মঙ্গলবার স্কুলের পরীক্ষায় বসে চমকে দিল শহিদ এস কে বিদ্যার্থীর তিন কিশোরী কন্যা। অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরতা আরতী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠরতা আনশু এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠরতা অংশিকা।

এদিন তিনজন গয়ার ডিএভি পাবলিক স্কুলে পড়ে। এদিন স্কুলের ড্রেস পরে পরীক্ষা দিতে যায়। শহিদের এই তিন কন্যার বীরত্ব, সাহসিকতা ও মানসিক দৃঢ়তা দেখে সকলেই চমকে গিয়েছেন।

চোখে ছিল জল। তা সত্বেও এদিন তারা যে পরীক্ষা দিতে এসেছে, তা অনুপ্রেরণামূলক উল্লেখ করে প্রিন্সিপাল এ কে জানা বলেন, এটা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।

পরীক্ষার পর আরতী জানায়, তার বাবা অগস্ট মাসে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। আরতী জানায়, বাবা বলেছিল, মন দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। বড় মেয়ে জানায়, সে তার বাবার স্বপ্নপূরণ করতে চায়।

এদিন শহিদ বিদ্যার্থীর জন্য স্কুলেই একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। প্রিন্সিপাল জানান, গোটা স্কুল বিদ্যার্থীর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে।

তিনি বলেন, এক পড়ুয়ার বাবা তাঁর কাছে এসে তিন শহিদের তিন কন্যার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।

শহিদ বিদ্যার্থীর বাড়ি বিহারের গয়া জেলার বুকনারি গ্রামে। বাড়িতে তিন কিশোরী কন্যা ছাড়াও রয়েছেন স্ত্রী এবং মাত্র ২ বছরের দুধের শিশুপুত্র।