নয়াদিল্লি: বজ্র আঁটুনি, ফস্কা গেরোর আদর্শ উদাহরণ। করাচিতে যে দাউদ ইব্রাহিমের বাড়ি সারাক্ষণ ঘিরে রাখে আইএসআই ও পাক নিরাপত্তারক্ষীরা, সশস্ত্র জঙ্গি থিকথিক করছে যেখানে, সেখান থেকেই নগদ ৪০ কোটি লুটে গা ঢাকা দিয়েছে তারই এক সাগরেদ। দাউদ গুরুর এই আদর্শ চেলার নাম খালিক আহমেদ। জানা গেছে, নয়াদিল্লির এক বাসিন্দার কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তোলা তোলে সে। ৪০ কোটি হাওয়ালা দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয়, বাকি ৫ কোটি রেখে দেয় দাউদের ‘যাতায়াতের খরচ’ হিসেবে। ৪০ কোটির অর্ধেক যাওয়ার কথা ছিল পানামার একটি ব্যাঙ্কে, বাকিটা লাগত দাউদের ব্যবসায়। কিন্তু ওই টাকা তো জায়গামত পৌঁছয়ইনি, তার সঙ্গে খালিকও বেপাত্তা।

পাকিস্তানে দাউদের ডানহাত জাবির মোতি ও খালিক আহমেদের মধ্যে কথাবার্তায় আড়ি পেতে এ ব্যাপারে জানতে পারেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। খালিক ভারত থেকে শারজার মধ্যে ঘোরাঘুরি করত, তার সেল ফোন দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপ করছিলেন গোয়েন্দারা। খালিকের সঙ্গে কথোপকথনে মোতি তাকে বলে, দাউদের লোক রাজ্জাক ভাইয়ের নজরে পড়েছে টাকার হাতবদলে এই গন্ডগোলের কথা। দাউদকে ‘বড়ে হজরত’ বলে সম্বোধন করে মোতি বলে, খালিদ দাউদকে ঠকিয়েছে, তার সম্মানহানি করেছে সে। যদিও খালিদের দাবি, সে কোনওরকম জোচ্চুরি করেনি, কোনও একটা ভুল বোঝাবুঝির জেরে এই ঘটনা।

বিষয়টি তদন্ত করতে ডি কোম্পানি দিল্লি থেকে কানাডায় তাদের দুজন ‘ডিটেকটিভ’-কে পাঠিয়েছে।

এই মুহূর্তে খালিক মণিপুরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর।