বিজেপি-র ওই টুইটে আরও দাবি করা হয়, সম্প্রতি ভারত সরকারের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই দাউদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে যখন আরব আমিরশাহী সফরে গিয়েছিলেন মোদী, তখন তিনি দাউদের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সেখানকার সরকারের হাতে তুলে দেন।
সূত্রের খবর, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম এইমুহূর্তে পাকিস্তানের করাচিতে লুকিয়ে রয়েছে। গত দুদশক ধরে ভারতীয় গোয়েন্দারা তার সন্ধানে রয়েছে।
দাউদকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মূলত দাউদই ছিল ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের নেপথ্যে। ওই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ভারতে আরও একাধিক নাশকতামূলত কার্যকলাপ সহ টাকা পাচার ও তোলাবাজিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারত ও মার্কিন সরকার দাউদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা ও লস্কর-ই-তৈবাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়।
সূত্রের খবর, ভারত আরব আমিরশাহী প্রশাসনকে যে কাগজপত্র দাউদের বিরুদ্ধে জমা দিয়ে ছিল ২০১৫ সালে, সেখানে তার সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য ছাড়াও পাকিস্তানে ডনের বিভিন্ন ঠিকানার কথাও দেওয়া আছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানেও বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি রয়েছে দাউদের এবং সেখানে তিনি মাঝেমধ্যেই ঠিকানা বদল করে থাকে।