জয়পুর ও ভোপাল: এবার পাল্টা হিংসা রাজস্থানে, যার নিশানায় দলিতরা। গতকাল দলিত বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন পাল্টা আজ তাদের ওপর চড়াও হয়। কয়েকটি বণিক গোষ্ঠী ও অন্য জাতের লোকজন গতকালের ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে আজ। আলোয়ারে গতকাল নিহত এক ব্যক্তির শেষকৃত্য করতে অস্বীকার করে রাস্তা অবরোধ করে একদল লোক। এর পাশাপাশি কারাউলি জেলার হিন্দৌন টাউনে এক বর্তমান ও এক প্রাক্তন দলিত বিধায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মারমুখী জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে কার্ফু জারি করা হয়।


প্রায় ৫ হাজার লোকের জমায়েত থেকে হামলা করা হয় বর্তমান ও প্রাক্তন দলিত বিধায়ক যথাক্রমে রাজকুমারী জাতভ ও ভরোসিলাল জাতভের বাড়িতে। রাজকুমারী শাসক বিজেপির লোক, ভরোসিলাল প্রাক্তন কংগ্রেসি এমএলএ। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রীও। বণিক গোষ্ঠী ও উচ্চবর্ণের লোকজন তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত লোকজনেদের মহল্লায় ঢোকার চেষ্টা করে। যদিও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, লাঠি চালিয়ে, রবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। লুঠপাট, হিংসার কিছু ঘটনার পর প্রায় ৪০ জনকে হিন্দৌনে আটক করে পুলিশ। চুরু, গঙ্গাপুরেও উত্তেজনা রয়েছে। গতকাল রাতে গঙ্গাপুরে জারি হয় কার্ফু।

এদিকে মধ্যপ্রদেশে গতকালের অশান্তিতে মৃতের সংখ্যা আজ বেড়ে হয়েছে ৮। আজ মারা গিয়েছে জখম আরও ২ জন। গতকাল একজনের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়েছে বলে প্রশাসন স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে ২ জন পুলিশকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহত ৮ জনের ৬ জনই দলিত, ২ জন উচ্চবর্ণের হিন্দু।

গোয়ালিয়র, ভিন্দ, মোরেনা-মধ্যপ্রদেশের এইসব শহরে আজও বহাল রয়েছে কার্ফু।

এর মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে গ্রেফতারি বিধি লঘু করার ব্যাপারে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। সরকার পিছিয়ে পড়া অংশের স্বার্থরক্ষায় পূর্ণ দায়বদ্ধ। বরং ক্ষমতায় আসার পর আমরা ওই আইন খতিয়ে দেখে তাকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।