নয়াদিল্লি: নোট বাতিল নিয়ে ফের সংসদে বিরোধী আক্রমণের মুখে মোদী সরকার। তাদের প্রশ্ন, ‘৫৬-ইঞ্চি কেন ভয় পাচ্ছেন?’


নোট বাতিল নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম। এই ইস্যুতে একযোগে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। প্রথম থেকেই তারা দাবি তুলছে ১৮৪ ধারায় বিতর্ক করতে। প্রসঙ্গত, এই ধারায় বিতর্কের পর ভোটাভুটির সংস্থার রয়েছে।


ব্যতিক্রম হয়নি সোমবারও। এদি নও বিরোধী আক্রমণকে নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস ও তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন, লাখো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এবং কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মানুষ নিজেদের বেতন ও পেনশন পাচ্ছেন না। এই প্রেক্ষিতে তাঁদের দাবি, ১৭টি বিরোধী দল ডিমোনেটাইজেশন ইস্যুতে ১৮৪ ধারায় আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


যদিও, বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দেয় শাসক দল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, কোন ধারায় আলোচনা-বিতর্ক হবে তা স্থির করবেন কক্ষের স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। তিনি জানান, নোট বাতিলের বিতর্ক ১৯৩ ধারার আওতায় রাখা হয়েছে।


সরকারের পক্ষের হয়ে জবাব দিতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে। তাঁর পাল্টা দাবি, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকা ও দুর্নীতি রোধ হবে। ফলে, অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।


তিনি যোগ করেন, নোট বাতিল কার্যকর করার সময়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা নিয়ে সরকার যে কোনও প্রস্তাব শুনতে প্রস্তুত। তাই বিরোধীদের উচিত, ধারায় না আটকে থেকে বিতর্কে অংশ নেওয়া।


এরপরই মোদীকে আক্রমণ করতে শুরু করে দেয় বিরোধীরা। তারা স্লোগান তোলে, ‘৫৬-ইঞ্চি কেন এত ভয় পাচ্ছেন? কেন সরকার বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছে?.. আমরা ভোটাভুটি চাই।’


সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব বলেন, নোট বাতিলের পরে উত্তরপ্রদেশেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সরকার এই পদক্ষেপ বড় শিল্পপতিদের সুবিধার্থে নিয়েছে।


সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। এই সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয়, তাহলে সপ পক্ষের সমর্থন নেওয়া উচিত ছিল। এনডিএ সরকারকে আক্রমণ করেন আরজেডি ও টিআরএস-ও।


এসবের মধ্যেই এদিনের মত সভা মুলতুবি হয়ে যায়।