বারমের: পুলিশ ফাইলে তার নাম ‘জামাই রাজা’। যদিও বিয়ে করেনি সে। কিন্তু তা বলে নারীসঙ্গ বঞ্চিত নয়। ৫৫ জন বালিকা বধূকে শয্যাসঙ্গী করেছে সে। পুলিশের খাতায় সে দাগী অপরাধী। কনেদের ঠকিয়ে তাদের গয়নাগাঁটি হাতিয়ে ভেগে যেত সে। অবশেষে মৃত্যু হল জিয়ারাম জাঠ নামে ৫৪ বছরের ওই প্রতারকের।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, রাজস্থানের বারমের জেলার নিম্বালকোট গ্রামে গত শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। জেলার বিভিন্ন থানায় তার নামে প্রায় ১৮ টি মামলা ছিল। মৃত্যুর সময় তার পাশে কেউ ছিল না।

২০০৪-এ এক শ্লীলতাহানির মামলায় জিয়ারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগেই সে ৫৫ জন নববধূকে তার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।

জেরার সময় জিয়ারাম পুলিশকে তার অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিল। সে এমন পরিবারগুলিকে টার্গেট করত  যারা একা থাকে। যৌথ পরিবারগুলি এড়িয়ে যেত সে। ওইসব পরিবারের বালিকা বধূ, যারা ‘গউনা’-র জন্য প্রস্তুত থাকত তাদেরই শিকারের লক্ষ্য হিসেবে বাছত জিয়ারাম। ‘গউনা’ হল বালিকা বধূ সাবালিকা হলে তাকে স্বামীর ঘরে পাঠানোর প্রথা।

বাড়িতে নববধূর একা থাকার সুযোগ নিয়ে আসত জিয়ারাম। নিজেকে ওই বধূর স্বামী হিসেবে পরিচয় দিত। যেহেতু ছোটবেলায় বিয়ে হয়েছে। তাই ওই বধূ স্বাভাবিকভাবেই তার স্বামীকে চিনত না। ফলে সহজেই তার বিশ্বাস আদায় করে নিত জিয়ারাম। এই সুযোগে ভোর হওয়ার আগেই ওই বধূর শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর জন্য রাখা গয়না নিয়ে চম্পট দিত জিয়ারাম।

২০০৪-এ ধরা পড়ার পর স্বভাবে কিছুটা রাশ টেনেছিল জিয়ারাম। কিন্তু ২০১৩-তে ৫৬ তম শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়ে সে।