শিমলা: সোমবার হিমাচলপ্রদেশের সোলান জেলায় ভেঙে পড়া বহুতল থেকে আরও ৬টি দেহ উদ্ধার করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এর আগে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার আরও ৬ জনের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। এদের মধ্যে ১৩ জনই সেনাকর্মী, একজন সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের আহত হওয়ার খবর এসেছে। তাদের মধ্যে ১১ জন সাধারণ নাগরিক, বাকিরা সেনাকর্মী।
ডেপুটি কমিশনার কে সি চমন জানিয়েছেন, “ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে। যদি কেউ এখনও আটকে থাকেন, তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, আজই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে ভেঙে পড়া বহুতলটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্মিত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি মেজিস্টেরিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি আরও জানিয়েছেন, এমন আরও একাধিক বহুতল এখানে রয়েছে যা প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মেনে তৈরি হয়নি।
উল্লেখ্য, সোলান জেলায় বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। একজন আহত সেনাকর্মী পিটিআই-কে জানিয়েছেন, অন্তত পক্ষে ৩৫ জন সেনাকর্মী এই ঘটনার সময় রেস্তোরাঁর মধ্যেই ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০ জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রাকেশ কুমার নামের এক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। জানি না কীভাবে বহুতল ভেঙে পড়ল এবং সেখানে আটকে পড়লাম। আমি ১০-১৫ মিনিট আটকে থাকার পরই একজন এসে আমাকে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করে”।