হরিদ্বার: ডাক্তাররা বলেছিলেন মৃত। দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মর্গে। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মানুষটি তখনও জীবিত ছিলেন, মর্গের হিমশীতল ঠান্ডায় মৃত্যু হয় তাঁর। ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করার ৮ ঘণ্টা পরে।

হরিদ্বারের একটি সরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা। পরদিন ময়নাতদন্তে সামনে আসে প্রকৃত সত্য। মৃতের আত্মীয়রা পুলিশে অভিযোগ করলে চিফ মেডিক্যাল অফিসার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

কৃষ্ণ কুমার নামে বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যক্তি স্থানীয় ভেল হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। বুকে ব্যথার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, ১২ তারিখ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহ তখনই পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্গে।

পরদিন বেলা দুটো নাগাদ হয় ময়নাতদন্ত। তাতে বেরিয়ে আসে চমকে দেওয়া সত্য। দেখা যায়, ময়না তদন্তের ৬ ঘণ্টা আগে কৃষ্ণ কুমারের মৃত্যু হয়, অর্থাৎ ১৩ তারিখ সকাল ৮টা নাগাদ। তার মানে মৃত ঘোষণার পর ৮ ঘণ্টার বেশি সময় জীবিত ছিলেন তিনি।

চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মৃতের ভাই থানায় অবহেলার মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, মর্গে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, কৃষ্ণ কুমারের দেহ মূত্রের মধ্যে ছিল, মুখে ছিল বমির দাগ। তাঁর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের খুনের দায়ে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। প্রথমত তাঁরা তাঁর ভাইয়ের ঠিকমত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি, দ্বিতীয়ত তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় মর্গের বরুফে ঠান্ডায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২ সিনিয়র চিকিৎসক ময়নাতদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ১ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকরা অপরাধী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই অভিযুক্ত চিকিৎসকদের গ্রেফতার করা সম্ভব।