নয়াদিল্লি: আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে শপথ নিলেন ৯ জন নতুন মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে যেমন বিজেপি-র প্রবীণ নেতারা আছেন, তেমনই আছেন চারজন প্রাক্তন আমলা। দেখে নেওয়া যাক নতুন মন্ত্রীদের পরিচয়


বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বর্তমানে বক্সারের সাংসদ। তাঁর জন্ম ভাগলপুরের দরিয়াপুরে। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। সাতের দশকে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অশ্বিনীর। জরুরি অবস্থার সময় তিনি জেলেও যান। তিনি ১১ হাজার মহাদলিত পরিবারে শৌচাগার বানাতে সাহায্য করেন।

মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ের সাংসদ বীরেন্দ্র কুমার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ৬ বার লোকসভার সাংসদ হওয়ার পর এবার মন্ত্রী হলেন তিনি। অর্থনীতিতে মাস্টার ডিগ্রি ছাড়াও শিশুশ্রম নিয়ে পিএইচডি করেছেন অশ্বিনী। তিনিও জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় ১৬ মাস জেলে কাটাতে হয় তাঁকে।

উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া শিবপ্রতাপ শুক্ল পেশায় আইনজীবী। তিনি উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় তাঁকে ১৯ মাস জেলে থাকতে হয়েছিল।

অনন্ত কুমার হেগড়ে কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় কেন্দ্রের পাঁচবারের সাংসদ। তিনি মাত্র ২৮ বছর বয়সে প্রথমবার সাংসদ হন। তিনি পেশায় কৃষিবিদ। চারবার স্পাইসেস বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার সদস্য হন হেগড়ে। তিনি মার্শাল আর্টেও পারদর্শী।

মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিংহ উত্তরপ্রদেশের বাগপত থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। ন’য়ের দশকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে মাওবাদী দমনে বিশেষ সাফল্যের জন্য তিনি বিশেষ পুরস্কার পেয়েছিলেন।

গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত রাজস্থানের জোধপুর থেকে লোকসভা সাংসদ হয়েছেন। তিনি জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন। বর্তমানে বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের সংগঠনের সভাপতি তিনি।

প্রাক্তন আইএফএস হরদীপ সিংহ পুরী ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়া ব্রাজিল ও ব্রিটেনেও ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।

প্রাক্তন আইএএস রাজকুমার সিংহ বিহারের আরা থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। তিনি সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে আইনের স্নাতক হওয়া ছাড়াও নেদারল্যান্ডসের আরভিবি ডেফট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

কেরল ক্যাডারের প্রাক্তন আইএএস কে জে অ্যালফন্স কান্নানথনম ২০০৬ সালে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে দিল্লিতে কয়েক হাজার অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেন অ্যালফন্স। ২০০৬ সালে সিপিএম বিধায়ক হন তিনি। ২০১১ সালে বিজেপি-তে যোগ দেন। তবে সাংসদ নন অ্যালফন্স।