নয়াদিল্লি: ৭ বছর আগে স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাংশগুলো ডিপ ফ্রিজে পুরে দিয়েছিল সে। দিল্লির সেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ গুলাটিকে আদালত খুনের অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করল।


তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন ও ২০১ ধারায় প্রমাণ লোপাটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাল হবে তার শাস্তি ঘোষণা।

২০১০-এর ১১ ডিসেম্বর এই হাড় হিম করা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গোটা দেশ কেঁপে উঠেছিল নৃশংসতায়। এর ২ মাস আগে স্ত্রী অনুপমাকে খুন করে রাজেশ। তারপর থেকে ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে রেখেছিল দেহাংশগুলো।

বেশ কিছুদিন বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনুপমার ভাই ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রকাশনগর কলোনিতে তাঁদের বাড়ি আসেন। রাজেশ অনুপমার ব্যাপারে তাঁকে কিছু বলতে না পারায় পুলিশে যান তিনি।

রাজেশ প্রথমে পুলিশকেও বলে, অনুপমার ব্যাপারে সে কিছু জানে না। কিন্তু একটি ঘরে তালাবন্ধ ডিপ ফ্রিজ আবিষ্কার করায় পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। ফ্রিজ খুলে দেখা যায়, ভেতরে রয়েছে অনুপমার টুকরো টুকরো করে কাটা শরীর। আরও জানা যায়, শরীরের কিছু অংশ রাজেশ মুসৌরিতে একটি নালায় ফেলে দেয়।

রাজেশের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল। ২০১০-এর ১৭ অক্টোবর এমনই ঝগড়ার সময় বিছানায় মাথা ঠুকে যাওয়ায় অনুপমা জ্ঞান হারান। তখন বালিশে শ্বাসরোধ করে রাজেশ তাঁকে খুন করে। পরদিন একটি ডিপ ফ্রিজার কিনে এনে তাতে তাঁর দেহ ঢুকিয়ে দেয়। পরে সময় পেয়ে ধীরে সুস্থে দেহ টুকরো করে সে। কিছু কিছু টুকরো মাঝে মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসত মুসৌরির নালায়। কিন্তু সব দেহাংশ এভাবে সরিয়ে ফেলার আগেই ধরা পড়ে গেল সে।

তাদের ৪ বছরের দুই যমজ সন্তান যখন মায়ের কথা জিজ্ঞেস করত, রাজেশ বলত, মা দিদিমার কাছে গিয়েছে। তাদের সাক্ষ্যও নিয়েছে আদালত।