জলন্ধর: তিনি যদি নাম করে করে সকলের কেচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করেন তবে কৃষক নেতাদের মুখ লুকনোর জায়গা থাকবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে পঞ্জাবের অভিনেতা-আন্দোলনকারী দীপ সিধু এই হুমকি দিলেন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা অভিযোগ করেছিল, কৃষক বিক্ষোভকে ২৬ তারিখের তাণ্ডবের চেহারা দেওয়ায় দীপ সিধুর ভূমিকা রয়েছে, তিনি উসকানি দিয়েছিলেন। এরপরই দীপের এই অভিযোগ।
রাত দুটো নাগাদ ফেসবুকে লাইভ করেন দীপ সিধু। সেখানে তিনি বলেন, তোমরা নির্লজ্জের মত আমাকে দোষ দিচ্ছ। তোমাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে লোকে ট্রাক্টর মিছিলে যোগ দিতে এসেছিল। তোমাদের কথা শুনেছিল। লাখ লাখ লোক কী করে আমার কথা শুনতে পারে? আমি যদি লাখো লোককে উসকানি দিতে পারি, তাহলে তোমরা কতটা পার, ভেবে দেখেছ? তোমরাই এতদিন বলেছ, দীপ সিধুর কোনও প্রভাব নেই, আন্দোলনে ভূমিকাও নেই। তাহলে আজ কী করে বলছ, আমি লাখ লাখ মানুষ নিয়ে এসেছি?
লাল কেল্লা তাণ্ডবে দিল্লি পুলিশের এফআইআরে দীপের নাম রয়েছে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। যদিও ফেসবুক লাইভে তাঁর দাবি, এখনও সিঙ্ঘু সীমানাতেই রয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরও অনেক তথ্য ফাঁস করে দিতে পারেন কিন্তু কৃষক আন্দোলনের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা ভেবে তা করছেন না। ২৬ তারিখ লাল কেল্লায় তাণ্ডব হয়েছে বলেই স্বীকার করতে রাজি নন দীপ। তাঁর বক্তব্য, লাল কেল্লায় যাওয়া বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করা উচিত, ধিক্কার দেওয়া নয়।
তাঁর কথায়, কৃষক নেতারা যদি সেদিনের বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়াতেন তবে কেন্দ্রের ওপর আরও চাপ তৈরি করা যেত। ২৬ নভেম্বর ব্যারিকেড ভেঙে আমরা সরকারকে জাগিয়েছিলাম, ২৬ জানুয়ারি ফের সরকারের হুঁশ ফেরাতে পারতাম। কিন্তু তোমরা তো তা শুনবে না। কৃষক নেতাদের বলেছেন তিনি।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, তিনি আরএসএস এজেন্ট। দীপ বলেছেন, কোনও আরএসএস বা বিজেপি চর বা যার ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে, সে কি ওখানে নিশাল সাহিব তুলবে? যারা সেদিন লাল কেল্লায় গিয়েছিল, তাদের সবাইকে তোমরা বিশ্বাসঘাতক তকমা দিচ্ছ, এতেই বোঝা যাচ্ছে, তোমাদের মতলব কতটা খারাপ। বলেছেন তিনি।