নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো ইস্তক বলিউড অভিনেতা দীপিকা পাড়ুকোনকে অনেকেই কটাক্ষ করেছেন। যে তালিকায় নবতম সংযোজন যোগগুরু রামদেব। যিনি বলেছেন, ভারতবর্ষকে এখনও বোঝেন না দীপিকা এবং এ ব্যাপারে তাঁকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা উচিত। রামদেবের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।


দীপিকাকে তাঁর "রাজনৈতিক ও সামাজিক জ্ঞান" উন্নত করার জন্য তাঁর দ্বারস্থ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য রামদেবের। সোমবার একটি কাজে ইনদওর গিয়েছিলেন যোগগুরু। সেখানেই তিনি বলেছেন, "বাবা রামদেবের মতো কাউকে পরামর্শদাতা হিসাবে প্রয়োজন দীপিকার।"

দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে মুখোশধারী গুন্ডারা হামলা চালায়। হস্টেল ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত হন ছাত্র সংগঠনের প্রধান ঐশী ঘোষ। আক্রান্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কয়েকজনও। ৫ জানুয়ারির সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন দীপিকা। তারপর থেকেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা আশীষ শেলার বলেছিলেন যে, যোদ্ধা মস্তানির মতো অভিনয়ের চেষ্টা করা উচিত নয় দীপিকার, কারণ "তাঁর পিছনে সত্যিকারের পরিচালক নেই"।

সোমবার রামদেব মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি শিবরাজকে (সিংহ চৌহান) যতটা ভালোবাসেন কমল নাথকেও ততটাই ভালবাসেন। সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএকে সমর্থন জানিয়ে যোগগুরু দাবি করেন যে, প্রতিবেশী সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে না আসেন তবে তারা আর কোথায় যাবেন। তিনি আরও যোগ করেছেন যে, এটি কংগ্রেস প্রস্তাবিত একটি আইন। তাই এখন কেন এর বিরোধিতা করা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তুলেছেন রামদেব।

যদিও রামদেব স্বীকার করেছেন যে, বেশ কয়েকটি ভুল ধারণা রয়েছে। যোগগুরুর দাবি, "যাঁরা সিএএর সম্পূর্ণ রূপ জানেন না তারাও বিরোধিতা করছেন।”

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন রামদেব। বলেছেন যে, মোদির নেতৃত্বেই দেশ শক্তিশালী হবে এবং অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠবে।