বেরিলি: উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার মাদ্রাসাগুলিকে নির্দেশ দেয়, স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গোটা অনুষ্ঠানের করতে হবে ভিডিওগ্রাফি। কিন্তু বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা সেই নির্দেশ মানেনি বলে অভিযোগ। এই মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ রুজু হতে পারে।


পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বেরিলি সহ অন্যান্য এলাকার বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা নির্দেশ মেনে জাতীয় পতাকা তুললেও জনগণমন গাইতে অস্বীকার করে। তাদের যুক্তি, ইসলাম আল্লা ছাড়া আর কারও প্রশংসা করে না। এর বিরুদ্ধে বেরিলি প্রশাসনের কাছে স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলি অভিযোগ দায়ের করেছে, অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষও।

অভিযোগকারীদের এ ব্যাপারে প্রমাণ জমা দিতে বলেছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা জানিয়েছে, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ম্যানেজমেন্ট কমিটিগুলির বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করার জন্য এনএসএ রুজু হবে। রুজু হতে পারে প্রিভেনশন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্টও।

১৯৮০ সালে দেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখতে তৈরি হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইন। এই আইনে সম্ভাব্য উত্তেজনা রুখতে নাগরিকদের আটক করা সম্ভব। এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করার কোনও উপায় নেই।