পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য) এম এস রানধাওয়া বলেছেন, রাজঘাট থেকে অভিযুক্ত সিদ্ধার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে পেশ করা হলে সিদ্ধার্থর ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রানধাওয়া বলেছেন, গত ১৪ মে সিদ্ধার্থ গাড়িটি চুরি করে কৌশাম্বির একটি নির্জন জায়গায় গিয়ে রেথে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর কাকা-বাবার সঙ্গে থানায় এসে সে জানায়, গাড়িটি কেউ চুরি করেছে। পুলিশের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ডও করে সিদ্ধার্থ। চারদিন ধরে গাড়িটির সন্ধানে পুলিশের সঙ্গেই সে বিভিন্ন জায়গায় যায় বলে এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।
এরই পাশাপাশি চুপিসারে গাড়িটি বিক্রির ছকও কষে সে। এজন্য এক বন্ধুকে খদ্দের দেখার কথা বলে সিদ্ধার্থ। খদ্দের পাওয়াও যায়। দরিয়াগঞ্জের এক খদ্দের পাঁচ লক্ষ টাকায় গাড়িটি কিনতে রাজি হয়। গাড়িটি দেখতে খদ্দেরকে রাজঘাটে আসতে বলা হয়।
এরইমধ্যে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে, সিদ্ধার্থকে গাড়ি নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। গাড়ির নম্বর প্লেটও বদল করা হয়নি। ইন্সপেক্টর সত্যেন্দ্র মোহনের নেতৃত্ব পুলিশ ফাঁদ পাতে। নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গাড়ি চুরির ঘটনায় সিদ্ধার্থ গ্রেফতার হয়েছে শুনে পরিবারের লোকজন হকচকিয়ে যান। তাঁরা সবাই থানায় আসেন। সকলের সামনেই চুরির কথা কবুল করে সিদ্ধার্থ। পুলিশ সে জানিয়েছে, এমবিএ-র এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে সে। একটি কোম্পানিতে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি করছিল সে। কিন্তু চারমাস আগে চাকরি চলে যায়। তাই গার্লফ্রেন্ডের খরচ চালাতে সে সমস্যায় পড়ে যায়। এজন্যই সে গাড়ি চুরির ছক কষে সে। ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করে ১৪ মে বাড়ির লোকজন যখন ঘুমোচ্ছিল তখন সিদ্ধার্থ গাড়িটি চুরি করে।