নয়াদিল্লি: পশ্চিম দিল্লির এক নামী বেসরকারি স্কুলে সাড়ে ৪ বছরের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। ক্লাসের মধ্যে ও স্কুলের টয়লেটে সে সমবয়সি এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করেছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


ওই ছাত্রী তার মাকে বলে, সহপাঠী ছেলেটি আঙুল ও ধারালো পেনসিল দিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে তাকে। তার মায়ের অভিযোগ, এর ফলে মেয়েটির গোপনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।

আইন বলছে, অন্যের গোপনাঙ্গে যে কোনও বস্তু জোর করে প্রবেশ করানোই ধর্ষণ।

শিশু নির্যাতন বিরোধী আইনে ৪ বছরের পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ঠিকই কিন্তু পুলিশ বুঝতে পারছে না, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৭ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের আইনের শাসন থেকে কিছু সুরক্ষা দেয়। তাই যৌন নির্যাতনের এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হলেও আইনের দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছাত্রীর মা পুলিশে অভিযোগ করেছেন, গত শুক্রবার স্কুল থেকে ফিরে তাঁর মেয়ে বলতে থাকে, তলপেটে ব্যথা করছে। প্রথমে গুরুত্ব দেননি মা। কিন্তু রাতে সে কেঁদে ফেলে তাঁকে গোটা ঘটনার কথা বলে। বলে, ক্লাসরুমের মধ্যে ওই ছাত্র জোর করে তার প্যান্ট খুলে নির্যাতন করেছে তাকে। ক্লাসে অন্য কোনও পড়ুয়া ছিল না, শিক্ষক অশিক্ষক কোনও কর্মী ছিলেন না। তাই ছাত্রীটি ওই ছাত্রকে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করলেও পেরে ওঠেনি সে।

এফআইআরে তিনি বলেছেন, সে রাতেই শ্রেণি শিক্ষককে এসএমএস করে তিনি গোটা ঘটনার কথা বলেন। শনিবার সব কিছু জানান স্কুল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোনও সাহায্য করেনি, বরং বলে, সোমবার লিখিত অভিযোগ জমা দিতে। মেয়ের ব্যথা না কমলে তাকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের প্রমাণ পান। তারপর পুলিশে দায়ের করেন অভিযোগ।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য গোটা ঘটনা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে পুলিশকে অনুরোধ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, ৪ বছরের শিশুর যৌন আকাঙ্খা থাকা সম্ভব নয় যা পূরণ করতে এ কাজ করতে পারে সে।