নয়াদিল্লি: ফের স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু। এবার ঘটনাস্থল দিল্লি।


সেপ্টেম্বরে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যানাল স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে খুন হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। এবার ১৪ বছরের তুষারের দেহ পাওয়া গেল দিল্লির করবাল নগর জীবন জ্যোতি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের শৌচাগারে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।


পুলিশ জানিয়েছে, তুষার পড়ত নবম শ্রেণিতে। সহপাঠীরা গতকাল স্কুলের টয়লেট থেকে তার অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


তূষারের পরিবারের অভিযোগ, একদল ছাত্র টয়লেটের ভেতর পিটিয়ে খুন করেছে তাকে। এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের পরিবার অন্যান্য অভিভাবকের সঙ্গে গতকাল রাত পর্যন্ত স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।


যদিও স্কুলের দাবি, তুষারের ডায়রিয়া হয়েছিল। তার জন্য সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেখান থেকে মৃত্যু। তবে, স্কুলের সাফাই মানতে নারাজ পরিবার। তাদের দাবি, মারপিঠের ঘটনা চেপে যেতে চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।


এর মধ্যেই, সিসিসিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মারপিঠের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শৌচাগারের কাছে চারজন পড়ুয়ার সঙ্গে মারপিঠ হচ্ছে তূষারের। এরপরই, ওই তিন ছাত্রকে আটক করা হয়। আরেকজন পলাতক।


প্রাথমিক তদন্তের সময় মৃতের দেহে বড়সড় কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে দাবি করেছে পুলিশ। এখন অপেক্ষা করছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য পুলিশ। তবে, পরিবারের দাবি মেনে অপরিচিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে তারা।