নয়াদিল্লি: ঘুষ নেওয়াই হোক বা দুর্ব্যবহার- পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিছু কম নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সুনীতার কাছে পুলিশ শুধু সাহায্যকারীই নয়, দেবদূত। চূড়ান্ত সঙ্কটে তিনি পাশে পেয়েছেন দুই পুলিশকর্মীকে।

এই দুই কনস্টেবলের নাম নবীন কুমার ও প্রবীণ কুমার। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ তাঁদের পিসিআর ভ্যানে একটি ফোন আসে। সেইমত তাঁরা হাজির হন দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির ধৌলা কুয়াঁ বাস টার্মিনালে। দেখেন, ২৭ বছরের সুনীতা গর্ভযন্ত্রণায় ছটফট করছেন, সঙ্গে শুধু তাঁর বড় ভাই।

দেরি করেননি দুই পুলিশকর্মী। দ্রুত তাঁরা তাঁকে নিজেদের ভ্যানে তুলে নেন। রওনা দেন স্থানীয় মেটারনিটি হোমের দিকে। কিন্তু সুনীতা তাঁদের গাড়ি থামাতে বলেন। বলেন, মারাত্মক যন্ত্রণা তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। এরপরেই তিনি একটি কন্যার জন্ম দেন।

তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রামকৃষ্ণপুরমের একটি মেটারনিটি হোমে। মা-মেয়ে দু’জনেই এখন সুস্থ। তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার সকালে তাঁর আত্মীয়রা এসে পড়েছেন দিল্লি।

উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সুনীতা রাজস্থানে গিয়েছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। বাসে করে ফেরার সময় তাঁর গর্ভযন্ত্রণা শুরু হয়। যন্ত্রণায় তাঁকে ছটফট করতে দেখে বাস চালক খবর দেন পুলিশে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলদের পুরস্কৃত করা হবে।