নয়াদিল্লি: চুল পড়ে যাচ্ছে। সেই হতাশা থেকে অবসাদগ্রস্ত হয়ে মাসের পর মাস ধরে আবর্জনা ভর্তি ঘরে নিজেকে বন্দি করে রেখেছিল ১৬ বছরের এক তরুণী। সে দু মাসেরও বেশি সময় ধরে স্নান করেনি। এই সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাটের বাইরেও যায়নি। অবশেষে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


দিল্লির পান্ডব নগরের একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকে ওই তরুণী। প্রতিবেশীদের দাবি, দু বছর ধরে মেয়েটি ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরোয়নি। তার মা ও দিদি পাশেই অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তাঁরা রোজ দু বার করে এসে মেয়েটিকে খাবার দিয়ে যেতেন। গত ১০ দিন ধরে রোজ রাতে সে উচ্চস্বরে কাঁদছিল। তার সাহায্য দরকার বুঝেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) রবীন্দ্র যাদব বলেছেন, কয়েক বছর ধরেই মেয়েটির বাবা-মা আলাদা থাকেন। তবে তাঁদের এখনও সরকারিভাবে বিচ্ছেদ হয়নি। মেয়েটির বাবার একটি ছোট দোকান আছে। ৬ মাস আগে পর্যন্ত মেয়েটির সঙ্গেই তার মা ও দিদি থাকতেন। কিন্তু তাঁরা অন্যত্র থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মেয়েটি সেখানে যেতে রাজি হয়নি। এরপর থেকেই সে নিজেকে ওই ফ্ল্যাটে বন্দি করে রেখেছিল।

উদ্ধার করার জন্য মেয়েটির ঘরে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, তার ঘরে অন্তত এক ফুট পুরু ময়লা জমে। পচা খাবার, জলের বোতল, খাবারের ফাঁকা প্যাকেট, নোংরা জামাকাপড় সহ নানারকম ময়লা। ঘরে এত দুর্গন্ধ যে সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যায় না। কিন্তু তার মধ্যেই ছিল মেয়েটি। পুলিশের সন্দেহ, সে মানসিক রোগগ্রস্ত। তার রক্তচাপ কমে গিয়েছে, নাড়ির গতি অত্যধিক দ্রুত। দীর্ঘদিন নোংরার মধ্যে থাকায় তার শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।