মেয়েদের কাজের পরিবেশ সবচেয়ে খারাপ দিল্লিতে, সবচেয়ে ভাল সিকিমে:সমীক্ষা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 21 Sep 2016 01:24 PM (IST)
নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ফের বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গকে। গতকালই দিল্লির বুরারিতে প্রকাশ্য রাস্তায় ২৫ বার ছুরি মেরে খুন করা হয় এক তরুণীকে। ধর্ষণ প্রায় সেখানে নিত্যদিনের ঘটনা। সম্প্রতি দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে দিল্লিতে কর্মস্থলে মেয়েদের জন্যে নিরাপত্তার হালও একেবারেই ভাল নয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য সিকিমে মেয়েদের জন্যে কর্মস্থলে নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি। এই সংক্রান্ত বিষয় যৌথ সমীক্ষাটি চালিয়েছিল সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বা সিএসআইএস এবং ন্যাথান অ্যাসোসিয়েটস। তাদের করা যৌথ সমীক্ষায় দেখা গেছে কর্মস্থলে মেয়েদের জন্যে সবচেয়ে ভাল পরিস্থিতি রয়েছে সিকিমে। সমস্ত কিছু বিচার করে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য পেয়েছে ৪০ পয়েন্ট। সেখানে রাজধানী দিল্লি পেয়েছে মাত্র ৮.৫ পয়েন্ট। প্রসঙ্গত, এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল, বিভিন্ন রাজ্যের চারটি বিষয় বিবেচনা করে। বিভিন্ন রাজ্যে মহিলাদের কর্মস্থলে কাজ করার সময়। এই সমীক্ষা চালানোর সময় কথা বলা হয়েছে কলকারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলাদের সঙ্গে। এছাড়া সমীক্ষার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে দেশের সমস্ত রাজ্যে বিভিন্ন সংস্থায় মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে কতটা কোঠর আইন রয়েছে। একটি রাজ্যে কতজন মহিলা বাইরে কাজ করতে বেরোন। এছাড়া মহিলাদের কোন রাজ্যে কোন সংস্থা কতটা ইন্সেনটিভ দেয়। প্রসঙ্গত, এই সমস্ত বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে মহিলাদের জন্যে কর্মস্থলে সবচেয়ে সেরা কাজের পরিস্থিতি রয়েছে সিকিমে। তারপর ২৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তেলঙ্গানা, ২৫.৬ পয়েন্ট পেয়েছে পুদুচেরী, ২৪.৭ পয়েন্ট পেয়েছে কর্ণাটক, ২৪.২ পয়েন্ট পেয়েছে হিমাচন প্রদেশ, ২৪.০ পয়েন্ট পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল ২২.২, মহারাষ্ট্র ২১.৪, তামিল নাড়ু ২১.১ এবং ছত্তিসগড় পেয়েছে ২১.১ পয়েন্ট। চার রাজ্য সিকিম, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে মহিলাদের রাতে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। মহারাষ্ট্রে রিটেল সেক্টরে রাত দশটা অবধি মহিলাদের কাজ করার অনুমতি রয়েছে। এদিকে দেশের নটি রাজ্য মেয়েদের রাতে কাজ করার অনুমতিই দেয়নি।