নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের ২০১৬-য় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভারত-বিরোধী স্লোগান ওঠার ঘটনায় ১০ হাজার টাকার যে জরিমানা হয়েছে, তা জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না ২০ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের।
২০০১ সালের সংসদ চত্বরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় দোষী ঘোষিত আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে আয়েজিত সেই অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান ওঠে বলে অভিযোগ।
কানহাইয়া ৪ জুলাইয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ ও জরিমানার অর্থ জমা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চান। সংশ্লিষ্ট বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বিচারপতি রেখা পল্লী মৌখিক নির্দেশে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে ২০ জুলাই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে বারণ করেন। বলেন, তিনি মামলার ফাইল পড়ে দেখেননি, বিষয়টি রেগুলার বেঞ্চেই ২০ জুলাইয়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা উচিত।
কানহাইয়ার পক্ষে দুই আইনজীবী রেবেকা জন ও তারান্নুম চিমা বলেন, বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি এজন্য যে, কানহাইয়া আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন, জরিমানা জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ।
ওই ঘটনায় শৃঙ্খলা ভাঙার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কানহাইয়াকে।

কানহাইয়ার তরফে পিটিশনে অভিযোগ করা হয়, জরিমানার নির্দেশে স্বাভাবিক ন্যয়বিচারের নীতি পালনে চরম গাফিলতি হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশও লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাঁকে কোনও লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি, তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া দুজনকে পাল্টা জেরা করতেও তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তাদের সামনে কানহাইয়া হাজিরা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে। তারা বিবেচনা বোধই খাটায়নি কেননা কমিটির তদন্ত চলাকালে কানহাইয়া বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি আফজলকে নিয়ে হওয়া অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আরেক পড়ুয়া উমর খালিদকে বহিষ্কার ও শৃঙ্খলাবিধি ভাঙায় আরও ১৩ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দেয়।