নয়াদিল্লি: অফিস অব প্রফিট বা লাভজনক পদ মামলায় ২০ আমআদমি পার্টি (আপ) বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিলের পদক্ষেপ খারিজ করে দিয়ে অরবিন্দ কেজরীবালকে স্বস্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির ওই আপ এমএলএ-দের বিধায়ক পদ বাতিল করে কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে আইনের চোখে বাজে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। বিধায়কদের আর্জি নতুন করে শোনার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি চন্দ্র শেখরের বেঞ্চ। এবার কমিশন লাভজনক মামলার নতুন করে শুনানি করবে। নির্বাচন কমিশন ২০ আপ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের যে সুপারিশ করেছিল, তাকে 'কলুষিত' আখ্যা দিয়েছেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেছেন, এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ন্যয়বিচার লঙ্ঘিত হয়েছে, ওই বিধায়কদের দিল্লি বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের আগে তাঁদের মৌখিক বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ২০১৮-র ১৯ জানুয়ারি তারিখের ভারতের নির্বাচন কমিশনের অভিমত আইনের বিচারে খারাপ, তা ন্যয় বিচারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারেনি। প্রত্যাশিত ভাবেই উত্ফুল্ল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেছেন, সত্যের জয় হল। দিল্লি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই এই খুশির খবরকে টেবল বাজিয়ে স্বাগত জানান আপ বিধায়করা, ভারত মাতা কী জয় ধ্বনি দেন। রায় স্বাগত জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়া। কেজরীবাল ট্যুইট করেন, সত্যের জয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিধায়ক পদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছিল। হাইকোর্টের রায় দিল্লিবাসীকে ন্যয়বিচার দিল। দিল্লির মানুষকে অভিনন্দন, এটা তাঁদের সাফল্য। গত জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে লাভজনক পদ মামলায় ২০ আপ বিধায়কের বিধানসভা সদস্য পদ খারিজ করেন। কমিশন জানিয়েছিল, ২০১৫-র ১৩ মার্চ থেকে ২০১৬-র ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদীয় সচিব পদে থাকায় তাঁরা লাভজনক পদে বহাল ছিলেন, তাঁদের বিধায়ক পদ চলে যাওয়া উচিত।