বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে, মুসৌরি পর্যন্ত দেহ নিয়ে গিয়ে খাদে ফেলে দিল স্বামী
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 16 Dec 2017 09:43 AM (IST)
নয়াদিল্লি: বউকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে মেরে দেহ মৌসুরি পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেল স্বামী। উদ্দেশ্য খাদ থেকে দেহ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজের কৃতকর্ম থেকে চিরকালের জন্যে মুক্তি পাওয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির রানি বাগে। এভাবে অভিযুক্ত ললিত জৈন নিজের স্ত্রী সিল্কি জৈনের খুনের ঘটনাটি আট দিন লুকিয়ে রাখতে সক্ষমও হয়েছিল। থানায় গিয়ে ললিত শুধু স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করে এসেছিল, জানিয়েছেন ডিসিপি উত্তর পশ্চিম আসলাম খান। তবে ওই সূত্র ধরেই ললিতের স্ত্রী আসল নিখোঁজ রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লি পুলিশ উত্তরাখণ্ড পুলিশ এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের সাহায্য নিয়ে সিল্কির দেহ উদ্ধার করে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ললিত, তার বাবা, ভাই, ভাইয়ের বউ এবং ভাইয়ের শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারণ ললিত সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হলেও, অন্য আত্মীয়রা ললিতকে হত্যায় সাহায্য করেছিল। সাত বছর আগে ললিত-সিল্কির বিয়ে হয়। তাদের কোনও সন্তান ছিল না। জমি-বাড়ির দালালির সঙ্গে যুক্ত ছিল ললিত। আত্মীয়র সঙ্গে পুলিশ কথা বলে জানতে পেরেছে পারিবারিক কারণে দম্পতির মধ্যে মাঝেমধ্যেই বচসা হত। সেইরকমই কোনও ঝগড়া ডিসেম্বরের তিন তারিখ রাতেও হয়। সেটাই পরে এই পরিণতি পায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঝগড়ার সময় সিল্কির গলা টিপে, তাকে মারধর করে অজ্ঞান করে দেয় ললিত। পরে নিজের দুই আত্মীয়কে ডেকে হাতুড়ির ঘায়ে পুরোপুরি শেষ করে দেয় সিল্কিকে। তারপর সেই রাতেই আত্মীয়দের সঙ্গে মিলে সিল্কির দেহ বস্তায় পুড়ে ললিত গাড়িতে তুলে মুসৌরি যায়। তারপর পাহাড়ি শহরে গিয়ে খাদে সিল্কির দেহ ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে স্বাভাবিক জীবনযাপনই করছিল ললিত। মাঝে সিল্কির মায়ের ফোন আসলে, তাঁদের জামাই বলে দেয় মেয়ে এখন ব্যস্ত রয়েছে, কথা বলতে পারবে না। ঘটনার পর সাট দিন কেটে যায়। তারপর থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে ললিত। পুলিশ তদন্তে নেমে সিল্কির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললেই তাঁদের সন্দেহ ললিতের ওপর পড়ে। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও, পরে জেরার মুখে নিজের দোষ কবুল করে ললিত। মুসৌরি গিয়ে পুলিশকে দেহ ফেলে আসার জায়গাটি দেখিয়ে দেয়। সেখান থেকে গতকাল উদ্ধার হয় দেহ।