নয়াদিল্লি: খুড়তুতো বোনের বিয়ে দেওয়ার খরচের দায় ঝেড়ে ফেলতে তাকে খুন করল দাদা। ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্ব দিল্লি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


গতকাল বিকেলে মধুবিহার থানায় আসা পিসিআর কল থেকে পুলিশ জানতে পারে. হাসানপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে  এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, বিছানায় পড়ে রয়েছে ওই তরুণীর দেহ। গলায় ও হাতে  আঘাতের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। বাড়িতে দরজা বা জানালা ভেঙে ঢোকা বা ভাঙচুরের কোনও প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। ডিসিপি (পূর্ব) ওমবীর সিংহ জানিয়েছেন, হত্যাকারী তরুণীর খুনকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহের বশে ১৯ বছরের ওই তরুণীর দাদা তাপস বর্মনকে জেরা শুরু করে। জেরায় ভেঙে পড়ে বোনকে খুনের কথা কবুল করে সে।

অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, সে প্রথমে বোনের গলায় ফাঁস দেয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার নাক ও মুখ চেপে ধরে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৮-এ ওই তরুণীর যখন ১০ বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তিনি হাসানপুর গ্রামে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। তাপসই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তাই বোনের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও তার ওপরই পড়ে। গত কয়েকমাস ধরেই বোনের বিয়ের খরচ নিয়ে সে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তারওপর ওই তরুণী তাপসের মা ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া করায় পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় দায় ঝেড়ে ফেলতে বোনকে খুন করে সে।