নয়াদিল্লি: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত নিয়মিত। শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গেও বনছিল না ভদ্রমহিলার। শেষমেষ বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ডেকে এনে স্বামী মনোজ কুমার তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।


২২ বছরের ওই মহিলার নাম কোমল, থাকতেন উত্তর দিল্লির কাঞ্ঝাওয়ালায়, শ্বশুরবাড়িতে। ২০১৫-র জুলাইতে তিনি ভালবেসে বিয়ে করেন মনোজ কুমারকে। মনোজের মুদির দোকান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের ছ’মাসের মাথায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া ছিল রোজকার ঘটনা। শেষমেষ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে রঘুবীর নগরে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি।

স্বামী নিয়মিত সেখানে গিয়ে তাঁকে বোঝাতেন শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসতে। কিছুদিন আগে ফিরেও আসেন কোমল কিন্তু ফের মনোজের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে য়ান তিনি। গতকাল সন্ধেয় মনোজ রঘুবীর নগরে কোমলের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বলেন, তাঁর জন্য সারপ্রাইজ আছে।

অভিযোগ, স্থানীয় বোন্টা পার্কে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে চোখ বুজতে বলেন মনোজ। তারপর গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করেন। খুনের পর এক বন্ধুকে ফোন করে সব বলেন মনোজ। মতলব ছিল, শহর ছেড়ে পালাবেন কিন্তু বন্ধুর ফোনে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে তাঁকে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মনোজের সন্দেহ ছিল, কোমলের কারও সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সম্ভবত সে কারণেই স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি।