নয়াদিল্লি: আজ কালকাজি মন্দির থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তাৎপর্যভাবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন না দিল্লিরই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।


যেভাবে দিল্লি মেট্রোয় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেজরীকে ব্রাত্য রাখা হল, অথচ সুদূর লখনউ থেকে ডেকে আনা হল যোগী আদিত্যনাথকে, তাতে বিজেপির সঙ্গে আপের সম্পর্ক আরও তিক্ত বই মধুর হবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এ বছর কোচি ও হায়দরাবাদ মেট্রোরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুবারই তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে মেট্রো রেলে সফর করেন। দু রাজ্যেই ক্ষমতায় অবিজেপি দল- কেরলে বাম ও তেলেঙ্গানায় টিআরএস। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচক, কেরলে আরএসএস কর্মীদের খুন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সিপিএমের নিয়মিত তিক্ত বাদানুবাদ হয়। তবে টিআরএসের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক অতটা খারাপ নয়, উপ রাষ্ট্রপতি পদে বেঙ্কাইয়া নাইডুর নির্বাচন সমর্থন করে তারা।

কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক দৃশ্যতই শীতল, মুখোমুখি দেখা হলে সাধারণ শুভেচ্ছা বিনিময়টুকুই হয় তাঁদের। সে কথা তুলে আপ বলেছে, বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা, প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দাঁড়াতে, বসতেও চান না। ম্যাজেন্টা লাইনের উদ্বোধনে কেজরীকে আমন্ত্রণ না করা বিজেপির সস্তা মানসিকতার পরিচায়ক বলে তারা অভিযোগ করেছে।

এর আগে ২০১৫-তেও বদরপুর থেকে ফরিদাবাদ মেট্রো লাইনের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন না কেজরী। আপের অভিযোগের জবাবে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন জানিয়ে দেয়, অনুষ্ঠানের আয়োজক হরিয়ানা সরকার, তারাই আমন্ত্রিতের তালিকা স্থির করেছে। এ ক্ষেত্রেও তারা বলছে, আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজক উত্তর প্রদেশ সরকার।