নয়াদিল্লি: পারেনি কলকাতা, করে দেখাল দিল্লি। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হত হৃৎপিন্ড। ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় গ্রিন করিডোর সেট আপে ১৮ কিমি দূরত্ব পাড়ি দিল অ্যাম্বুলেন্স। তাও আবার মাত্র ১৬ মিনিটে।

প্রসঙ্গত, জয়পুরে এক ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তাঁর পরিবার অঙ্গ দানের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরই অঙ্গ দিয়ে অপর এক রোগীর প্রাণ বাঁচাতে চার্টার্ড প্লেনে দিল্লি আসেন একদল ডাক্তার। ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস্ কলোনির একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হৃৎপিন্ড। ব্যস্ত সময়ে গোটা রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। গোটাটাই সম্ভব হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায়।

ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, একটি বিশেষ বাক্সের মাধ্যমে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় হৃৎপিন্ডটি। তৎক্ষণাৎ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে রাস্তা ফাঁকা করে তা পৌঁছে দেওয়া হয় হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সটি পথে কোথাও যাতে না আটকায়, তার জন্য রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল ট্রাফিক দল। তাঁদেরই সহযোগিতায় ১৮ কিমি রাস্তা নিমেষে পাড়ি দিতে পারে অ্যাম্বুলেন্সটি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, ব্রেন ডেথের পর মায়ের কিডনি ও চোখ দান করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে দাবি করেন কলকাতার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সরকার। অঙ্গদানের পর তা প্রতিস্থাপন করতে দ্রুত অন্য হাসপাতালে সেই অঙ্গ নিয়ে যাওয়ার জন্য, যে পুলিশি সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ রাস্তা ফাঁকা করে গ্রিন করিডর তৈরি করে দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে তেমন কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মৃত শোভনা সরকারের ছেলের। তাঁর দাবি, মায়ের দেহ নিয়ে পিয়ারলেস থেকে বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৪৫ মিনিট!