নয়াদিল্লি: ফোন দিতে দেরি করায় অনলাইন শপিং সাইটের ডেলিভারি বয়কে ২০ বার ছুরির কোপ মারলেন মহিলা। ঘটনাস্থল দিল্লি।


খবরে প্রকাশ, জনপ্রিয় অনলাইন সাইটে ফোন অর্ডার দিয়েছিলেন কমলদীপ নামে ৩০ বছর বয়সী দিল্লির এক মহিলা। যে তারিখে ফোন ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল, সেদিন তা পৌঁছয়নি। এতেই ক্ষিপ্ত হন কমলদীপ।


এতটাই ক্ষিপ্ত যে, পরে যেদিন ফোন আসে, তখন ডেলিভারি বয়ের ওপরই ছুরি দিয়ে হামলা করেন তিনি। এক-দুবার নয়। একেবারে ২০ বার ছুরির কোপ মারেন ডেলিভারি বয়কে। শুধু তাই নয়, ভাইয়ের সঙ্গে মিলে গুরুতর জখম ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ বাড়ির পাশের ড্রেনে ফলে দেন।


কিছুক্ষণ পর, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয় যে, গুরুতর জখম অবস্থায় ড্রেনে পড়ে কাতরাচ্ছেন এক যুবক। পুলিশ এসে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করায়। জানা যায়, ওই যুবকের নাম কেশব। বয়স ২৮।


অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও, পুলিশকে বয়ান দিতে সক্ষম হন কেশব। তাঁর অভিযোগকে ভিত্তি করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ মহিলা ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করে।


কেশব জানান, গত ২১ তারিখ কমলদীপ নামে অভিযুক্ত মহিলাকে তিনি ১১ হাজার টাকা মূল্যের ফোন ডেলিভারি করতে যান। তিনি জানান, যেদিন ডেলিভারি করার কথা ছিল, সেদিন সকাল থেকেই মহিলা ফোন করছিলেন। ফোনেও তিনি উত্তপ্ত বাক্য বলছিলেন বলে জানান কেশব।


কিন্তু, এলাকাটি তাঁর অপিরিচিত হওয়ায় ফোন দিতে দেরি হয়। কেশবের অভিযোগ, তিনি পৌঁছতেই মহিলা একটি ছুরি নিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। কমলদীপের ভাই তাঁকে নিরস্ত্র করতে চাইলে, মহিলা জানিয়ে দেন, হয় তাঁকে সাহায্য করতে, নয় তো সরে দাঁড়াতে।


কেশবের অভিযোগ, এরপরই, ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাথারি কোপ মারতে থাকেন মহিলা। মারার সময় মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ফোন দেরি করে এনেছে সে(কেশব)।


কেশব আরও জানান, দুজনে মিলে তাঁকে ধরে রেখে কোপাতে থাকে। পরে, জুতোর ফিতে দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হয়। তাঁর কাছে প্রায় ৪০ হাজার নগদ ছিল। সেই টাকা হাতিয়ে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়।