নয়াদিল্লি: দিল্লির বুরারিতে একটি ঘরে এক সঙ্গে ১১টি শব মেলার ঘটনায় তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, তন্ত্রমন্ত্রের জেরে এমন কাণ্ড হয়েছে। ওই ঘর থেকে উদ্ধার একটি রেজিস্টারে লেখা, টুল ব্যবহার করতে হবে, চোখ বন্ধ করতে হবে আর হাত বাঁধতে হবে। তাহলে মোক্ষ মিলবে আপনাদের।

এই মুহূর্তে বুরারির দেহগুলির ময়নাতদন্ত হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, তাহলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। নারায়ণ দেবীর মেজ মেয়ে সুজানা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার ধার্মিক ছিল ঠিকই কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন নয়। সকলেই মানসিকভাবে সুস্থ, হাসিখুশি ছিলেন। পরিজনদের এই ঘটনায় কারও ওপর সন্দেহ নেই, সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা।



গতকাল বুরারিতে উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের দেহ। ১০টি দেহ ঝুলছিল ছাদ থেকে, চোখ ও হাত বাঁধা ছিল। পাশের ঘরে পড়েছিল ৭৭ বছরের এক বৃদ্ধার দেহ, তাঁর চোখ বাঁধা ছিল না, মনে করা হচ্ছে, গলা টিপে মারা হয় তাঁকে। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল গণ আত্মহত্যা। কিন্তু উদ্ধার হওয়া ওই রেজিস্টারের লেখা বক্তব্য পড়ার পর পুলিশ ভাবছে, কুসংস্কারের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা।

৭৭ বছরের ওই বৃদ্ধার নাম নারায়ণ দেবী। বাকিরা হলেন তাঁর মেয়ে প্রতিভা, ২ ছেলে ভবনেশ ও ললিত। ভবনেশের স্ত্রী সবিতা, তাঁদের ৩ সন্তান মীনু, নিধি ও ধ্রুব। ললিতের স্ত্রী টিনা ও ছেলে শিবম ও প্রতিভার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা।

প্রিয়ঙ্কার ১৭ জুন আশীর্বাদ হয়েছিল। আত্মীয় স্বজনরা এসেছিলেন তাতে, পরিবারের লোকজন নাচগানও করেছিলেন। ধ্রুব ও শিবমের বয়স ছিল ১৫ বছর, পড়ত নবম শ্রেণিতে। তাদের বন্ধু যতীন বলেছে, ঘটনার আগের রাতেও তাদের ক্রিকেট খেলতে দেখেছে সে।