নয়াদিল্লি: উত্তর দিল্লির বুরারিতে একই বাড়িতে ১১ জনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দড়িতে ঝুলেই সবার মৃত্যু হয়েছে। ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আত্মীয়রা অবশ্য অভিযোগ করছেন, এই ১১ জনকে খুন করা হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ১১ জনেরই চক্ষুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আত্মীয়রা।

কেতন নাগপাল নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘মৃতদের মধ্যে আমার দিদিমাও ছিলেন। এই পরিবারের কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না। তাঁরা কোনও ঋণ নেননি। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তাঁরা কেন আত্মহত্যা করতে যাবেন? যদি আত্মহত্যাই করে থাকেন, তাহলে কেন মুখ ঢাকলেন? এই পরিবারের সবাই শিক্ষিত ছিলেন। তাঁরা কেউই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন না।’

মৃতদের অপর এক আত্মীয় বলেছেন, ‘মৃত্যুর আগের রাতেও আমার সঙ্গে এই পরিবারের লোকজনের কথা হয়েছিল। কোনওরকম হতাশার ইঙ্গিত পাইনি। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। এই পরিবারের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তবে আমাদের সন্দেহ, কেউ তাঁদের খুন করেছে।’

যে দুই নাবালকেরও মৃত্যু হয়েছে, তাদের বন্ধু যতীন জানিয়েছেন, ‘আমি মৃত্যুর আগের রাতেও ওদের ক্রিকেট খেলতে দেখেছি। ভবনেশ আঙ্কল ওদের দেখে খুশি হয়েছিলেন। ওরা আর আমাদের মধ্যে নেই, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’ দেবেশ মালিক নামে এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ‘আমাদের বাচ্চারা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। যা হয়েছে সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না।’