ময়রা বলেছেন, নোট বাতিলে ধনীরা সত্যি কোনও ধাক্কা খেয়েছেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু নোট বাতিল ধনীদের আঘাত হানার জন্য, এই বিশ্বাসেই মোদীর এই পদক্ষেপে কোনওরকম ক্ষোভপ্রকাশ করেননি গরিবরা।
ময়রা বলেছেন, ‘আমাদের সমাজে ধনীদের ওপর রয়েছে ক্ষোভ। মোদী ও অন্না হজারের মতো মানুষ প্রতিষ্ঠান- সম্পদশালী ও সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ মানুষের কথা শুনেছেন। অন্না হজারের আন্দোলন ছিল এর বিরুদ্ধেই। এই আন্দোলন শুধু সরকারের বিরুদ্ধেই নয়, ছিল দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধেও। তাই মোদী যখন বলেন যে, নোট বাতিল ধনীদের ওপর আঘাত হানবে, তখন আম জনতা নিজেদের দুর্ভোগ সত্ত্বেও উল্লসিত হয়েছিলেন’।
ময়রা বলেছেন, তাঁদের মতো ধনী ব্যক্তিদের কথাই বেশি শোনা হয়। নোট বাতিল একটা বার্তা দিয়ে গিয়েছে যে, ধনীদের বিরুদ্ধে দেশে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য আরও বলেছেন, মোট অভ্যন্তরীন উত্পাদন (জিডিপি)-র হারের থেকেও জনগনের কল্যাণের দিকে খেয়াল রাখাই অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, নেতারা জিডিপি-র হার বাড়ানোর জন্য নির্বাচিত হননি। তাঁদের কাজ এমন কিছু করা যাতে জনগন উপকৃত হয়।
তাঁর সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থে সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ময়রা।