এমনই দাবি এখানকার সাহাতওয়ার নগর পঞ্চায়েতর বাসিন্দা সুরেশ সোনারের পরিবারের।
সুরেশের মেয়ের 'তিলক' হওয়ার কথা ছিল আজ। পরিবারের লোকজনের দাবি, 'আচমকা' ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ হওয়ায় গভীর সঙ্কটে পড়েন সুরেশ। গতকাল নোট বদলাতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার স্থানীয় শাখার বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে। রাতে ঘরে ফিরেই প্রবল মানসিক চাপে হার্ট অ্যাটাক হয় সুরেশের। মারা যান তিনি।
এলাকার এসপি বৈভব কৃষ্ণ অবশ্য বলেছেন, ঠিক কী ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
বড় অঙ্কের নোট বাতিলের জেরে বিপাকে পড়ে বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা গতকাল মুজফফরনগরে জেলা শাসকের কার্যালয়ের বাইরে ধরনায় বসেন। ছেলে বা মেয়ের বিয়ে সামনেই, অথচ সেজন্য জোগাড় করা ৫০০, হাজার টাকার নোট বদল করে নতুন নোটও মিলছে না। তাই তাঁরা বিয়ের কার্ড হাতে ডিএমের দপ্তরের বাইরে জমায়েত করেন। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে, কিন্তু সরকারি নির্দেশের ফলে প্রয়োজনীয় অঙ্কের অর্থ তোলা যাচ্ছে না। তাহলে বিয়ে হবে কী করে? তাই ডিএমের কাছে তাঁদের দাবি, বিয়ের জন্য পর্যাপ্ত টাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হোক।