নয়াদিল্লি ও কলকাতা: একদিকে দিল্লিতে গিয়ে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে, জেলায় জেলায় পথে নামল তৃণমূল। নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অভিযোগকে হাতিয়ার করে কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বৃহস্পতিবার ফের তিনি যান রাইসিনা হিলসে। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আসেন। রাইসিনা হিলস থেকে বেরিয়ে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে যে সংকট চলছে সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে দেশের শ্রমিকদের পরিস্থিতির কথা বলেছি। আমাদের রাজ্যে, ধানখেতের মজুররা মজুরি পাচ্ছেন না। বহু দোকানদার, ব্যবসায়ী এমনকি, চাকুরিজীবীরাও হাতে টাকা পাচ্ছেন না। আমাদের অ্যাকাউন্টের টাকা আমরা পাচ্ছি না। মমতা বলেছেন, একজন শিশু তো চিকিত্সার অভাবে মারা গেল। পুরানো নোট পেট্রোল পাম্প, বিমানবন্দরে চলছে। কিন্তু রাজ্যগুলি তা ব্যবহার করতে পারছে না। এর ফলে লোকসান হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বরও রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন মমতা। গতকাল যন্তরমন্তরে সভাও করেছিলেন। এদিকে, নোট বাতিলের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। যা শুরু হয়েছে বুধবারের মিছিল দিয়ে। বৃহস্পতিবারও শহরের পথে নামেন দলের শীর্ষ নেতারা। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটি। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগান। কলকাতার পাশাপাশি এ দিন বিভিন্ন জেলাতেও মিছিল করে তৃণমূল। নোট বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনের সুর চড়াতে সোমবার পথে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। পরের দিন লখনউয়ে সভা করবেন মমতা। তার পরের দিন পটনায়। এরপর বারাণসী ও পঞ্জাবেও তাঁর সভা করার কথা। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রন্তে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে, নোট বাতিলের জেরে দুর্ভোগে পড়া মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে মোদি সরকারকে কোণঠাসা করা যায়।