নতুন আইন অনুযায়ী, ভুয়ো লেনদেনের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। যে সংস্থাগুলি লেনদেন গোপন রাখবে, তাদেরই ভুয়ো সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই ধরনের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ও রাজস্ব বিভাগ একসঙ্গে ভুয়ো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পাশাপাশি ভুয়ো সংস্থাগুলির ডিরেক্টররা যাতে প্রথমসারির সংস্থাগুলির বোর্ডে না থাকতে পারেন, সে জন্য তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
আয়কর বিভাগের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে সরকারের সন্দেহ, নোট বাতিলের পর বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার জন্য ভুয়ো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে সেই অর্থ তুলে নেওয়া হয়। আয়কর বিভাগ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ৬ হাজারের কম সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪,৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটির ৯০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। অনেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা বেআইনি নয়। কিন্তু সেখানে যে টাকা জমা দেওয়া হচ্ছে, তার উৎস জানাতে হবে।’