নয়াদিল্লি: আধার কার্ড পেশ না করার অজুহাতে আবেদনকারীকে তথ্য জানাতে অস্বীকার করাটা আরটিআই আইনের পরিপন্থী। এমনটাই মনে করে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।
খবরে প্রকাশ, জনৈক বিশ্বাস ভম্বুরকর তথ্য জানার অধিকার আইনের মোতাবেক হাডকোর থেকে জানতে চান—২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কত অর্থ উপহারের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। তিনি এ-ও জানতে চান, এসিয়াড ভিলেজে সংস্থার সিএমডি-দের সরকারি বাসভবনের সংস্কার, বিদ্যুতের বিল ও তাঁদের বেতন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে।
অভিযোগ, প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে হাডকোর মুখ্য জনতথ্য আধিকারিক ডি কে গুপ্ত গত বছর অগাস্ট মাসে সচিত্র পরিচয়পত্র, ঠিকানার পরচিয়পত্র এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আবেদনকারীকে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড অথবা পাসপোর্ট পেশ করতে বলেন।
নির্ধারিত ৩০ দিনের সময়সীমা পার করার পরও, হাডকোর তরফে কোনও তথ্য না আসায় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন বিশ্বাস। আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গুপ্তকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় কমিশন।
জবাবে, গুপ্ত দাবি করেন, একই ধরনের আবেদন আগেও জমা পড়েছে। তাই তিনি আবেদনকারীদের পরিচয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন।
গুপ্তর এই সাফাই অবশ্য খারিজ করে কমিশন। কমিশনার শ্রীধর আচার্যালু জানিয়ে দেন, আধার-তথ্য না থাকার জন্য আবেদনকারীর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আরটিআই আইন লঙ্ঘন করেছেন গুপ্ত। এর জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুপ্তর ওপর পাঁচ সমান কিস্তিতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে কমিশন।