মু্ম্বই: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাই কমিশনার আবদুল বসিতকে ইসলামাবাদে ফেরত পাঠানোর দাবি শিবসেনার। রবিবার সকালে বসিতের কাশ্মীর নিয়ে ‘প্ররোচনামূলক’ মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশন ও মুম্বইয়ের দূতাবাসে তালা মেরে দেওয়ার কথাও বলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।


বসিত রাজধানীর পাক হাই কমিশনে সে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা এ বছরের স্বাধীনতার দিনটিকে  কাশ্মীরের মুক্তির প্রতি উত্সর্গ করছি। কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগ সফল হবে, এ ব্যাপারে আশাবাদী আমরা। তিনি এও বলেন, স্বাধীনতা না পাওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরের লড়াই চলবে। পাকিস্তান তার প্রতি সর্বদা নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এসেছে, তা চালিয়েও যাবে।

রাউত পাল্টা বলেন, দিল্লিতে বসে যিনি এভাবে এ দেশের বিরুদ্ধে বিষ ঢালছেন, তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসলামাবাদ ফেরত্ পাঠানো উচিত। আমাদের স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে তিনি এসব কথা বলছেন। আমি নিশ্চিত, ভারত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। রাউত আরও বলেন, পাকিস্তান তো কোনও দেশ নয়, সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া। তবে কেন ওরা স্বাধীনতা দিবস  পালন করে জানি না!

বিজেপি অবশ্য বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও বালোচিস্তানের বাসিন্দাদের ওপর পাক সেনার অত্যাচারের প্রসঙ্গ তোলার হতাশ পাকিস্তান। তারই প্রতিফলন ঘটেছে বসিতের মন্তব্যে। বিজেপি মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের চেহারা ফাঁস করে দিয়েছে। মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনা হলে হবে শুধুমাত্র অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের ওপর অত্যাচার নিয়ে। ওরা কী করে পার পাবে? তিনি কাশ্মীরীদের মদত দেওয়া নিয়ে বসিতের মন্তব্যে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, পাক প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, উনি তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন মাত্র।

বসিতের  মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি-র দাবি, বসিত ক্ষমা চান। তিনি বলেন, সাধারণত এমন মন্তব্যে গুরুত্ব না দেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। তবে যেহেতু মন্তব্যটি করেছেন একটি দেশের হাই কমিশনার, তার পিছনে সরকারি সমর্থন আছে বলেই ধরতে হবে। তবে ইসলামাবাদের কাশ্মীর দখলের বাসনা কোনওদিনই পূরণ হওয়ার নয়। একইসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদীর ‘৫৬ ইঞ্চি’ বুকের পাটাওয়ালা সরকারকেও। সিংভি বলেন, মোদী সরকার ইসলামাবাদকে একঘরে করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। কেন, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত তাদের।