লখনউ: ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিংহের ডেরার একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সিরসার ডেরা সদর দফতর থেকে ১৪টি দেহ লখনউয়ের জিসিআরজি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় গবেষণার জন্য। কোনও অনুমতি ও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই।

উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এ নিয়ে নোট পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বলা হয়েছে, ডেরা থেকে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া ১৪টি দেহ আসা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাম রহিমের অনুগামীরা ওই দেহগুলি দান করেন, বলেন, মহৎ কাজে ব্যবহার করতে। সংশ্লিষ্ট ১৪টি পরিবার এফিডেভিট করে জানিয়েছে, গবেষণার জন্য দেহ দান করেছে তারা। শুধু এই কলেজেই নয়, আরও নানা কলেজে ডেরা সমর্থকরা ব্যবচ্ছেদের জন্য দেহ দান করেন। তবে কীসে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়।

মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একটি দল ১৬ অগাস্ট হাসপাতাল ঘুরে দেখে। অ্যানাটমি বিভাগে ১৪টি শীর্ণ লাশ পায় তারা। এর আগে তারা পরিদর্শনে আসে ৬ জানুয়ারি। তখন ওই বিভাগে ছিল মাত্র একটি লাশ। সে জন্য খারাপ রিপোর্টও দেয় কাউন্সিল, বলে নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে গবেষণার জন্য অন্তত ১৫টি দেহ থাকতে হবে। কাউন্সিলের সেই রিপোর্টই উদ্ধৃত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

২ বছরের জন্য ছাত্র ভর্তি বন্ধ রাখতে ওই কলেজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সরকারিই হোক বা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, দেহ দান করতে হলে অত্যাশ্যক কোনও চিকিৎসক বা হাসপাতালের ইস্যু করা ডেথ সার্টিফিকেট। সঙ্গে চাই মৃতের পরিবারের অনুমতিপত্র। যে সব দেহ পরিচয়হীন, সেগুলির ময়না তদন্ত আগে করতে হবে। তারপর পুলিশি ছাড়পত্র পেলে তা হাতে পেতে পারে মেডিক্যাল কলেজ।