শ্রীনগর: হরিয়ানায় ব্যাপক অশান্তির জেরে 'কর্তব্য পালনে চরম গাফিলতি'র জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারকে বরখাস্ত করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি এরকম পর্যায়ে চলে যাওয়া রুখতে তিনি যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন। ট্যুইটারে দাবি করলেন ওমর আবদুল্লা।

ডেরা সাচা সৌদা গোষ্ঠীর প্রধান গুরমিত রাম রহিম পাঁচকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হতেই গাড়িতে আগুন লাগানো, পুলিশকে পাথর ছোঁড়া সহ ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে দেয় তাঁর ভক্তরা। পুলিশের গুলিতে হতাহত হয় বহু।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের অস্থায়ী সভাপতি আগের একটি ট্যুইটে ডেরা সমর্থকদের হিংসা মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের হঠিয়ে দিতে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্রশস্ত্র, সরঞ্জাম আইন রূপায়ণকারী এজেন্সিগুলিকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কাশ্মীরে 'জনতাকে বাগে আনতে বহুল ব্যবহৃত হাতিয়ারগুলির' ব্যাপারে আবার ট্যুইট করছি। লঙ্কাগুঁড়ো ছড়ানো বোমা?পেপার গ্রেনেড? পেলেট গান? এসব কি শুধু প্রতিবাদী কাশ্মীরীদের সামলাতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হয়?

কয়েকটি চ্যানেল গত এপ্রিলে কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়া বাহিনীর বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর এক নিরস্ত্র কাশ্মীরীকে মানবঢাল হিসাবে ব্যবহারকে সমর্থন করেছে বলে অভিযোগ তুলে তাদের কটাক্ষ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, পাঁচকুলায় কোনও মানবঢাল নেই? বেশি পুরানো নয়, জনতা মোকাবিলায় পরীক্ষিত এই কৌশল অনেক টিভি চ্যানেলে বহুল প্রশংসা পেয়েছে।