কোল্লামের এই দুর্ঘটনাকে মানুষের তৈরি বিপর্যয় বলে উল্লেখ করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের হয়ে সওয়াল করেছেন খোদ কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি। এদিন উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল (মহা-নিবন্ধক)-কে লেখা একটি চিঠিতে বিচারপতি ভি চিতম্বরেশ জানান, এধরনের মানুষের তৈরি বিপর্যয়কে রোখার এটাই যথার্থ সময়। রাজ্যের মন্দিরে উচ্চ-ডেসিবেল সম্পন্ন বাজিকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন তিনি।
চিতম্বরেশ বলেন, ভারতীয় সংবিদান অনুযায়ী ধর্ম পালনের অধিকারের আওতায় কোনও বিপজ্জনক বাজি পোড়ানোর স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, কেবলমাত্র চিনা আতসবাজিকে অনুমতি দেওয়া যেতেই পারে। চিঠিতে চিতম্বরেশ রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অনুরোধ করেন যাতে তাঁর এই আবেদনকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দেখা হয়। চিতম্বরেশের দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানি হবে উচ্চ আদালতের দেবাসম বেঞ্চ।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার দাবি জোরালো হলেও, এত বিপর্যয়ের পরও সেই পথে হাঁটতে নারাজ রাজ্যের মন্দিরের শীর্ষ সংগঠন। করলের প্রায় ১২৫৫টি মন্দিরের সংগঠন ত্রিবাঙ্কুর দেবাসম বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। সংগঠনের সভাপতি প্রয়ার গোপালকৃষ্ণ বলেন, উৎসবের সময় বাজি প্রদর্শনী বন্ধ হোক তাঁরা চান না। তাঁর যুক্তি, এগুলি সব রীতির অনুষঙ্গ। তাঁর মতে, বাজি প্রদর্শনী আদালত ও সরকারি নিয়ম মেনে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে করা হোক, কিন্তু একেবারে নিষিদ্ধ করার কোনও অর্থ নেই।
এদিকে, এই বিষয়ে আবার খোদ বোর্ডের মধ্যেই মতবিভেদ রয়েছে। বোর্ডের আরেক সদস্য অজয় তাপাইল জানান, তিনি পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় সহমত পোষণ করছেন। গতকালই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চাণ্ডি জানিয়েছিলেন, বাজি প্রদর্শনী নিয়ে তিনি লাগাম পরাতে পারেন, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন না।