শাহেনশাহপুর: ‘বিজেপি-র সংস্কৃতি অন্য দলগুলির চেয়ে আলাদা। অন্য দলগুলি শুধু ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে রাজনীতি করে। কিন্তু বিজেপি মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে।’ উত্তরপ্রদেশের শাহেনশাহপুরে পশু আরোগ্য মেলার উদ্বোধন করে বিরোধীদের এভাবেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ‘কিছু রাজনীতিবিদ শুধু ভোটের কথা ভেবেই কাজ করেন। কিন্তু আমরা অন্য সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়েছি। আমাদের কাছে দেশই সবার উপরে। ভোট নয়, দেশই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শাসন শুধু রাজনীতি বা ভোটে জেতা নয়। দেশের উন্নয়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামীণ বা শহরাঞ্চলের সব গরিব মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের আয়ও দ্বিগুণ করার জন্য উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি আরও বলেছেন, দেশজুড়ে কোটি কোটি বাড়ি তৈরি হলে ইট, সিমেন্ট, লোহা, কাঠ দরকার হবে। এর ফলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আয়ের নতুন পথ খুলে যাবে।

এই বিশাল পশুমেলা আয়োজন করার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী। তাঁর মতে, পশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে দেশে দুধ উৎপাদন বাড়বে। একইসঙ্গে কৃষকদের বিকল্প আয়ের পথ তৈরি হবে। এর ফলে দেশের আয়ও বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, পূর্বতন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দুর্নীতির ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেভাবে জিএসটি ও আধারের বিষয়ে সহযোগিতা করছেন, তাতে মানুষের প্রতিটি পয়সা তাঁদের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানো যাচ্ছে। দেশ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার শংসাপত্র বিলি করে এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের পূর্বতন সমাজবাদী পার্টি সরকারকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, আগের সরকার কেন্দ্রকে গৃহহীন মানুষের তালিকা দেয়নি। কেন্দ্র চাপ দেওয়ার পর ১০,০০০ মানুষের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার লক্ষাধিক মানুষের তালিকা দিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে উপকৃত হবেন।

স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসেবে শাহেনশাহপুর গ্রামে শৌচাগারের শিলান্যাসও করেন মোদী। তিনি বলেছেন, পরিচ্ছন্নতা এক অর্থে দেশের গরিব মানুষের সেবা করা। এর ফলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা সবার দায়িত্ব।