নয়াদিল্লি: গতকাল সাম্বায় সম্ভবত ৮০ মিটার দীর্ঘ গোপন সুড়ঙ্গে হামাগুড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ ঢুকে তিন জঙ্গি বিএসএফের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর প্রধান আজ একথা জানিয়েছেন।


গতকাল বিএসএফের পাল্টা গুলিতে মারা যায় তিন জঙ্গিই।

বিএসএফ প্রধান কে কে শর্মা বলেছেন, আজ সকালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর তল্লাশি চালিয়ে ওই সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে। চাষের জমির নিচ দিয়ে ওই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়। ওই মাঠে চাষের কাজ শেষ হয়েছে, মাটিও ছিল নরম।

বিএসএফের ‘রেইজিং ডে’-র প্রাক্কালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শর্মা বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনার জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডগুলিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পর্কে বাহিনীর কাছে আগাম ‘জোরাল তথ্য’ ছিল। আর এ জন্য সশস্ত্র জঙ্গিদের চিহ্নিত করে তাদের নিকেশ করার মতো ‘জায়গায়’ ছিল বাহিনী।

বিএসএফ  প্রধান বলেছেন, চামলিয়াল বর্ডার আউটপোস্টে অভিযান শেষ হওয়ার পর কাঁচাতারের বেড়া পরীক্ষা করে দেখা হয়। কিন্তু তাতে কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি। এরপর আজ সকালে ২*২ মাপের একটা ছোট সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়। এরপর সীমান্ত বরাবর গভীরতা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। আর এতেই খোঁজ মেলে প্রায় আশি ফুট লম্বা একটি সুড়ঙ্গের। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৭৫-৮০ মিটার এবং কাঁটাতারের বেড়া থেকে ৩৫-৪০ মিটার দূরে সূড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়।

বিএসএফ প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি পাক রেঞ্জার্সকে জানানো হবে। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে পাক রেঞ্জার্সের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

বিএসএফের আধিকারিকরা বলেছেন, ওই সুড়ঙ্গ বেয়েই যে জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছিল, তার পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।

বিএসএফ ডিজি বলেছেন, নাগরোটায় গতকালের জঙ্গি হামলার সঙ্গে সাম্বায় হামলার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা তদন্তে জানা যাবে।

গতকাল সাম্বায় মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে লিক্যুইড এবং পাইপ আইইডি,তিনটি একে ফরর্টি সেভেন,২০টি ম্যাগজিন,৩১টি হ্যান্ড গ্রেনেড,স্যাটেলাইট ফোন, ছুরি ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার হয়েছে।