নয়াদিল্লি: শুধু কি নাথুরাম গডসে নয়, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ওপর আরও একজন কি গুলি চালিয়েছিল গাঁধী হত্যায় কি বিদেশি হাত রয়েছে জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

মামলাকারীর আরও প্রশ্ন, সিআইএ সহ দুটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা গাঁধীকে বাঁচাতে চেয়েছিল কিনা। ৬ তারিখ এ ব্যাপারে শুনানি।

মামলাটি করেছেন ডক্টর পঙ্কজ ফাড়ণীশ, মুম্বইয়ের অভিনব ভারত সংস্থার জনৈক ট্রাস্টি। তাঁর দাবি, গাঁধী হত্যার ফের তদন্ত হোক, দেখা হোক, তা ইতিহাসের অন্যতম বড় ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা কিনা।

ফাড়ণীশের বক্তব্য, দিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে ১৯৪৮-এর ৩০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে কয়েকটি টেলিগ্রাম যায়, তখন গাঁধী হত্যা হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয় একটি রিপোর্টও। কিন্তু তার বক্তব্য এখনও জানা যায়নি। তিনি নিজে সেই সন্ধের একটি টেলিগ্রাম পড়ে দেখেছেন আমেরিকার ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে গিয়ে। তাতে বলেছে, হার্বার্ট টম রিনার নামে জনৈক মার্কিন অফিসার গাঁধীর ওপর গুলি চলার সময় তাঁর ৫ ফুটের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় তিনি ধরে ফেলেন হত্যাকারীকে।

রিনার সেই সন্ধেতেই এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট ফাইল করেন। কিন্তু গাঁধী হত্যার ৭০ বছর পরেও তা প্রকাশ করা হয়নি। যে কটি টেলিগ্রাম সে সন্ধেয় মার্কিন দুতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে যা, জানা যায়নি তার একটির বক্তব্য।

ফাড়ণীশের প্রশ্ন, সত্যিই কি শুধু গডসে হত্যা করেন গাঁধীকে না আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল? কোনও বিদেশি শক্তির এতে হাত ছিল কি?

আমেরিকার তথ্য জানার স্বাধীনতা আইনে ওই ফাইলের তথ্য প্রকাশের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন তিনি।

জানিয়েছেন, গোপন টেলিগ্রামের বক্তব্য জানতে চেয়ে আগামীকাল গাঁধীর জন্মদিনে হোয়াইট হাউসের উদ্দেশে একটি অনলাইন পিটিশন শুরু করবেন।