নয়াদিল্লি: কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই ডোকালাম ইস্যুর সমাধান করার প্রয়াস করা হবে। এমনটাই জানাল ভারত।


বৃহস্পতিবার, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বলেন, আমাদের কূটনৈতিক মাধ্যম খোলা রয়েছে। দুদেশেই একে অপরের দূতাবাস রয়েছে। ওই মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাগলে মনে করিয়ে দেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত ও চিনের সংগঠিত ও পারস্পরিক সম্মত পন্থা রয়েছে।


সম্প্রতি, জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে হওয়া বৈঠকের উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামবুর্গে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে। যদিও, ডোকালাম প্রসঙ্গে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে কি না সেই নিয়ে খোলসা করেননি বাগলে।


এর আগে, বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করের গলাতেও একই কথা শোনা গিয়েছিল। এক আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়ে সিঙ্গাপুরে  তিনি বলেন, (ভারত-চিন) দীর্ঘ সীমান্ত। অথচ, তার কোনও অংশই মাটিতে টানা নেই। ফলে, সময়ে-সময়ে মতভেদ আসতেই পারে।


জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, এই প্রথম নয় যে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দেখা দিল। তিনি বলেন, অতীতে একাধিকবার এধরনের সমস্যার সমাধান করেছে দুই দেশ। তাই যখনই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন মনে হয়, আগে যখন হাল বের হয়েছে, তখন কেন এবার হবে না।


প্রসঙ্গত, গত একমাস ধরে সিকিম সেক্টরে চিন-ভুটান-ভারত সীমান্ত লাগোয়া ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে উভয় দেশ একে অপরকে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ করে চলেছে।