নয়াদিল্লি: আফগানিস্তান নিয়ে হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি ভাঙার ইস্যুতে ঝড় ওঠার মুখে নতুন সমস্যায় কূটনৈতিক বিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে দুই পড়শী দেশের মধ্যে। রবিবার থেকে বসছে ওই সম্মেলন, অমৃতসরে।
তার প্রাক্কালে নয়াদিল্লির পাকিস্তানি হাইকমিশনের অফিসার-কর্মীদের অভিযোগ, যে ব্যাঙ্কে তাঁদের বেতন জমা পড়ে, তারা এমন বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েছে, যার জেরে বেতন তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। পাকিস্তানের দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বাড়তি শর্ত যোগ করেছে যে, দূতাবাসের লোকজনকে বাধ্যতামূলক ভাবে অতিরিক্ত ফর্ম পূরণ করে জানাতে হবে, কীসে বেতনের অর্থ ব্যয় করা হবে। তাছাড়া তাঁরা ডলারে যে বেতন তুলছেন, সেটা ওই ব্যাঙ্কেই এক্সচেঞ্জ করতে হবে তাঁদের। পাক দূতাবাসের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক যে এক্সচেঞ্জ রেট দিচ্ছে, বাজারে রেট তার চেয়ে কম। গত সপ্তাহ থেকে চালু হওয়া এমন শর্তের প্রতিবাদে দূতাবাসের সিনিয়র কূটনীতিকরা বেতন তুলতে রাজি হননি বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি লিখে পাক হাইকমিশন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হস্তক্ষেপ করে ব্যাঙ্ককে ওই শর্ত প্রত্যাহারে রাজি করাতে হবে, নইলে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিক, কর্মীদের বেলায়ও একই ধরনের শর্ত চাপানো হবে।
বেছে বেছে পাক হাইকমিশনের কর্মীদের ক্ষেত্রেই এমন শর্ত বসানো হয়েছে, অন্য দেশের দূতাবাসগুলির ওপর হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা ভারত সরকারের সাম্প্রতিক নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে, তাই এ ধরনের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত, জানিয়েছে পাকিস্তান।
যদিও পাক হাইকমিশনের কূটনাতিক, অফিসার ও কর্মীদের বেতন তোলার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের শর্ত জারির পিছনে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নেই বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের অফিসাররা।