নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ‘নাগরিক-মনস্ক’ সমাজ গঠনের পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেছেন, ইতিহাসিক বিষয়বস্তু সহ যে কোনও মতামতের বিরোধিতা করাই যায়। কিন্তু তার জন্য অন্য কারও মর্যাদা নিয়ে উপহাস করা উচিত নয়। ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিষ্ঠানগুলির শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নৈতিক হওয়া উচিত। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।



‘পদ্মাবৎ’ নিয়ে দেশজুড়ে যে তাণ্ডব চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে প্রথম ভাষণে কোবিন্দ আরও বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব দেশ থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ দূর করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। শহর হোক বা গ্রামে, নাগরিক-মনস্ক প্রতিবেশীর মাধ্যমেই নাগরিক-মনস্ক দেশ গড়ে তোলা সম্ভব। পাশের বাড়ির ব্যক্তির গোপনীয়তা, অধিকার ও অবকাশের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। উৎসব পালন করি বা প্রতিবাদে সামিল হই, অন্যদের অসুবিধা করা যাবে না। শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নৈতিকভাবে ন্যায়পরায়ণ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমেই শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নৈতিকভাবে ন্যায়পরায়ণ দেশ গঠন করা যায়।’

দেশের স্বাধীনতার জন্য মহাত্মা গাঁধীর নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘সেটা এমন একটা সময় ছিল, যখন দেশের উন্নতির জন্য আত্মোৎসর্গ, সঙ্কল্প ও দায়বদ্ধতার নিরন্তর সংগ্রাম চলছিল। বর্তমানে আমরা সেরকমই একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি। আমাদের দেশ অনেককিছু অর্জন করেছে, কিন্তু এখনও অনেককিছু করা বাকি। যে প্রজন্ম আমাদের প্রজাতন্ত্র দিয়েছে, তাদের কথা ভেবেই আমাদের কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, ‘দেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি নাগরিকের বয়স ৩৫-এর কম। যুব সমাজই আমাদের আশা। আমরা সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। এবার দেশে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে হবে। শিক্ষার সংস্কার, উন্নয়ন ও ব্যাপ্তিই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ২০২০ সালে প্রজাতান্ত্রিক দেশ হওয়ার ৭০ বছর এবং ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর। একুশ শতকে প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য আমাদের উন্নত ভারত গড়ে তুলতে হবে।’