নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরসঙ্গী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়কে (পিএমও) নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার (সিআইসি) আর কে মাথুর। ৩০ দিন সময় দিয়েছেন তিনি।
পিএমও-র তরফে এ ব্যাপারে 'জাতীয় সুরক্ষা'র কারণ দেখিয়ে নাম প্রকাশ্যে যে আপত্তি তোলা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ও তাঁর যাবতীয় সুরক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের নাম প্রকাশ করা থেকে পিএমও-কে অব্যহতি দিয়েছেন তিনি।


নীরজ শর্মা ও আয়ুব আলি নামে দুই আবেদনকারী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে কারা তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন, সে ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে ব্যাপারে যথাযথ জবাব না পেয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারের দ্বারস্থ হন।
কমিশনার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাঁরা সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে যাঁরা জড়িত নন, সেইসব অ-সরকারি লোকজনের নাম বা তালিকা অবশ্যই আবেদনকারীকে দেওয়া উচিত। এটাই কমিশনের মত।
শর্মা জানতে চেয়েছিলেন, মোদীর বিদেশ সফরে যেসব বেসরকারি কোম্পানির সিইও, বণিক মহলের লোকজন গিয়েছিলেন, তাঁদের তালিকা। আলি মোদীর বাসস্থান ও দপ্তরের মাসিক খরচখরচার হিসাব চেয়েছিলেন। কীভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়, বাসভবনে, কার্য্যালয়ে তিনি কতবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন, কতগুলি নির্বাচনী জনসভায় তিনি ভাষণ দিয়েছেন, সেজন্য কত খরচ হয়েছে, এসবও জানতে চান তিনি।
শুনানি চলাকালে শর্মা মাথুরকে জানান, তাঁকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তথ্য জানার অধিকার আইনের ৮ (১) (এ) ধারায় জানানো বারণ, তাই কারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশ, বিদেশ সফরে গিয়েছেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা যায় না। মাথুর বলেছেন, শর্মার দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমলে এ ধরনের যাবতীয় তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকত। পিএমও-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত সব তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর দেশ, বিদেশ সফরের সঙ্গীদের নাম প্রকাশ করা যাবে না কেননা নিরাপত্তা ক্ষেত্রে একেকজনের ক্ষেত্রে বিপদের মাত্রা আলাদা।