চেন্নাই: বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদে তামিলনাড়ুর বিধানসভা উত্তাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিএমকে-র সকল বিধায়ককে সভাকক্ষ থেকে বহিষ্কার করলনে স্পিকার। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড বিরোধী শিবির।


ঘটনার সূত্রপাত আবাসন ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুদান সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন। অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় একটি টিভি অনুষ্ঠান করেছিলেন ডিএমকে বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা এম কে স্তালিন।

এদিন সেই প্রেক্ষিতে নাম না করে স্তালিনকে আক্রমণ করেন শাসক দল এআইএডিএমকে নেতা এস গুনসেকরণ। এরপরই তার তীব্র বিরোধিতা করেন ডিএমকে বিধায়করা।

গুনসেকরণকে মন্তব্য ফেরত নিতে হবে দাবি তুলে সভাকক্ষে হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেয় বিরোধী শিবির। তারা দাবি তুলতে থাকে, সভার কার্যবিবরণী থেকে এই মন্তব্য বাদ দিতে হবে।

যদিও, বিরোধীদের সেই দাবি খারিজ করে তাদের সংযত হওয়ার আবেদন করেন স্পিকার পি ধনপাল। তিনি বলেন, এডিএমকে নেতা কারও নাম করেননি। ফলে, বাদ দেওয়ার প্রশ্ন নেই।

কিন্তু, উপ-বিরোধী দলনেতা দুরাই মুরুগান দাবি করেন, ওই ‘নামাকু নামে’ বলে যে অনুষ্ঠানের উল্লেখ করেছেন গুনসেকরণ, তা স্তালিনের পরিচালিত। ফলে, নাম না করা হলেও, তাঁর দিকেই যে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেট স্পষ্ট।

ধনপাল তখন বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেন, সভার কাজ যাতে সভার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু, ডিএমকে বিধায়করা নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন।

এরপরই সভার মার্শালদের ডেকে ডিএমকে বিধায়কদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। স্তালিনকে জোর করে মার্শালদের কক্ষের বাইরে বের করতে চাইলে, তিনি বিধানসভার মধ্যেই ধর্নায় বসে পড়েন। পরে তাঁকে জোর করে বাইরে বের করা হয়।

এখানেই বিতর্ক থামেনি। ২৩৪-আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ু বিধানসভায় ডিএমকে-র শক্তি ৮৯। বিরোধী দলের সদস্যদের এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করার দাবি তুলে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন শাসক শিবিরের দলনেতা তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও পনীরসেলভম। বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ায় সহজেই ধ্বনিভোটের মাধ্যমে তা গৃহীতও হয়। এরপরই এদিনের মতো সভা মুলতুবি হয়ে যায়।