শাহজাহানপুর (উত্তরপ্রদেশ): কাশ্মীরে চলতি অশান্তি, বিক্ষোভের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে কাঠগড়ায় তুললেন রাজনাথ সিংহ। শনিবার এখানে তেরঙ্গা সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ আমি নিঃসংশয়ে বলতে পারি, পাকিস্তান ক্রমাগত কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় ওরা। উপত্যতায় শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপথে চালিত করতে চায়।


 

সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে গিয়ে তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে পাকিস্তান গিয়েছিলাম। আমাদের প্রতিবেশীর ভুল-ভ্রান্তির কথা আপনারা সকলেই জানেন। ওখানে যা হয়েছে, আমি তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। কিন্তু এটা বলতে চাইব যে, ওখানে ভারতের মাথা নত হতে দিইনি। বলে এসেছি, এক দেশের চোখে সন্ত্রাসবাদী কখনও অন্য দেশের কাছে হিরো হতে পারে না! আমি কাশ্মীরের জনগণকে বলতে চাই যে, আমরা শুধু কাশ্মীরের ভূখণ্ডই নয়, তাঁদেরও ভালবাসি। ওদের হাতে আমরা ইট-পাথর, বন্দুক দেখতে চাই না, দেখতে চাই কলম, কম্পিউটার, কাজ। আমরা দেখতে চাই, আপনারা কাজ করছেন। হিংসাত্মক প্রতিবাদে কোনও সমস্যা মেটে না বলে অভিমত জানিয়ে রাজনাথ বলেন, আগে শান্তি চাই। তারপর আলোচনার পথেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

 



 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ব্রিটিশ শাসকদের বিভাজন ও শাসনের পলিসি অনুসরণ করে কিছু লোক হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও পার্সিদের মধ্যে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে। কিন্তু তারা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের জনগণের মধ্যে কেউ বিভাজন তৈরি করতে পারবে না। ব্রিটিশ শাসকরা ধর্মের নামে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের জঘন্য প্রয়াস হেরে গিয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী আসফাকুল্লাহ খান, রমাপ্রসাদ বিসমিলের বন্ধুত্বের কাছে। ভারতকে মহান রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সব মানুষকে সম্প্রদায়, ধর্ম, জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

 

তিনি এও বলেন, ভারতের মুসলিমরা জানেন, একমাত্র এখানেই ইসলামের ৭২টি শাখার সবগুলি আছে। বিশ্বের আর কোথাও, এমনকী মুসলিম দেশগুলিতেও তা নেই। খ্রিস্টধর্মের সব শাখাও শুধু ভারতেই আছে।

চিন বা পাকিস্তান অতীতে সীমান্তে আগ্রাসনের চেষ্টা করলেও দেশবাসীই একজোট হয়ে ওদের চ্যালেঞ্জ করেছে বলেও মন্তব্য করেন রাজনাথ।