কোচি: রোগিনীকে খেতে বলা ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে দেখতে নিজেই তা খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন এক আয়ুর্বেদ চিকিত্সক। সেটা ২০০৭ সালের ঘটনা। ৯ বছর বাদে মারা গেলেন ডাঃ পি এ বৈজু নামে সেই ডাক্তার। খুবই গরিব ছিলেন, তাই কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে পাইপরা এলাকায় নিজের বাড়িতেই ছিলেন তিনি, জানিয়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা।


 

কেরলের ইডুক্কি জেলার বাইসন ভ্যালির সরকারি আয়ুর্বেদ ডিসপেনসারির মেডিকেল অফিসার পদে ছিলেন ডাঃ বৈজু। ২০০৭-এর জানুয়ারি মাসে এক রোগিনী তাঁর কাছে আসেন হাড় সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। বৈজু তাঁকে ‘কাশায়াম’ নামে একটি আয়ুর্বেদ ওষুধ লিখে দেন। ওষুধের দোকান থেকে কেনা সেই ওষুধ খেয়ে ওই মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তবে প্রাণ সংশয় হয়নি। মহিলার পরিবার সে কথা ডাঃ বৈজুকে জানান। তিনি তাঁদের ওষুধটি নিয়ে আসতে বলেন। তা যে ক্ষতিকর নয়, তাঁদের সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে তিনি নিজেই সেটি খেয়ে নেন। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যান তিনি।

তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, এই আশায় ডাঃ বৈজুকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও এ হাসপাতাল, ও হাসপাতাল করলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। ডাঃ বৈজুর ভাই জানিয়েছেন, ইডুক্কির জেলা আদালতে ওই রোগিনীর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। অভিযোগ, স্ত্রীকে মেরে ফেলতে ওই ওষুধে বিষ মিশিয়েছিলেন তিনিই, যা খেয়ে কোমায় আক্রান্ত হন ডাঃ বৈজু।